মালদার চাঁচল বাসস্ট্যান্ড। একের পর এক বেসরকারি বাস আসছে, যাচ্ছে। বাসযাত্রীরাও জড়ো হচ্ছিলেন একে একে। আর সেই বাসস্ট্যান্ড থেকেই উদ্ধার করা হল সদ্যোজাতর দেহ। একেবারে প্লাস্টিকে মোড়া ছিল শিশুর দেহ। বিপজ্জনকভাবে বাসের নীচে রাখা ছিল ওই শিশুটিকে। কিন্তু কে বা কারা ওখানে ওই শিশুর দেহটিকে রাখল? তবে কি ইচ্ছাকৃতভাবেই ওখানে শিশুটির দেহ রাখা হল?
চাঁচল থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করেছে। তাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অভিভাবকদের খোঁজ চলছে। প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের দাবি এলাকায় সিসি ক্যামেরাও বিশেষ নেই। যা দেখে সহজেই এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা যেতে পারে।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, এমন ঘটনা আগে এখানে দেখা যায়নি। বাসের নীচে রাখা ছিল সদ্যোজাত। একটা প্লাস্টকে মোড়ানো ছিল। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, প্লাস্টিকে রক্ত লেগেছিল। সেক্ষেত্রে সরাসরি সেটিকে হাসপাতাল বা নার্সিংহোম থেকে নিয়ে এসে এখানে ফেলে রাখা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা দরকার। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিও উঠছে। বাসযাত্রীরাই প্রথমে ওই প্লাস্টিকটিকে বাসের নীচে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।