বগটুই গণহত্যার পর রাজ্যে বোমা ও বন্দুক উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর তৎপর হয়ে কয়েকদিন ঘটা করে বোমা - বন্দুক উদ্ধার করেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে যে রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার কমেনি তার প্রমাণ পাওয়া গেল আবার। এবার অস্ত্র কারবারে যুক্ত অভিযোগে গ্রেফতার হল মালদার স্কুল ছাত্র। তাকে ধরেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাইপ গান ও কার্তুজ।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম সুদর্শন চৌধুরী। বাড়ি কালিয়াচকের ফুলবাগ জালালপুর এলাকায়। জালালপুর হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সে। রবিবার শেরপুরা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। জেরায় ধৃত অস্ত্র কারবারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, স্থানীয় ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক ব্যক্তিকে অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছিল সে। ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রবিবার বিকেলে শেরপুর মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল সে। তখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। এর পর তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় পাইপ গান ও কার্তুজ।
মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছে, ধৃত একজন নাবালক। তাকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এত কম বয়সে সে কী ভাবে অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বলে রাখি, রাজ্যে অস্ত্র পাচারের অন্যতম হাব এই মালদা। একদিকে বিহার ও অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের সুযোগ নিয়ে অবাধে চলে অস্ত্র পাচার। বিহার থেকে অস্ত্র মালদা হয়ে ঢোকে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।