একেবারে অবাক করা কাণ্ড মালদহের পুখরিয়া থানা এলাকায়। রবিউল হক নামে এক যুবক পাসপোর্ট বানানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। এদিকে পাসপোর্টের নথি পরীক্ষা করার সময় গোয়েন্দাদের কেমন সন্দেহ হয়। এরপর তাকে ডেকে পাঠানো হয়। পুলিশ দেখে রবিউল বাবার নাম হিসাবে ঝাটু শেখের নাম উল্লেখ করেছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ হতবাক।
দেখা যায় বাস্তবে রবিউল বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। চোরাপথে সে ভারতে ঢুকে ঝাটু শেখের বাড়িতে থাকছিল। আসলে ঝাটু শেখ তার পিসেমশাই। সেই পিসেমশাইকে বাবা সাজিয়ে সে আগেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সহ একাধিক নথি বানিয়ে ফেলেছিল। এমনকী এদেশে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলেছিল। সিম তুলে ফোনালাপও চলছিল দিব্যি। কিন্তু পাসপোর্ট করতে গিয়েই বিপত্তি।
গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই ব্যক্তি কেরলে কিছুদিন কাজ করে এসেছে।এমনকী এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করার প্রমাণও বের করে ফেলেছে। বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথাবার্তাও চলত।
একবার বাংলাদেশেও চলে গিয়েছিল সে। পরে আবার ফিরে আসে সে। এবার পাসপোর্ট বানিয়ে দুদেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের রাস্তা খুঁজছিল সে। কিন্তু পাসপোর্ট বানাতে গিয়েই শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ ইতিমধ্যে রবিউল ও তার পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে। সে বাংলাদেশেও টাকা পাঠাত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।