নাবালিকা মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন বাবা। ঘটনা মালদার বামনগোলা থানা এলাকার পাকুয়া শালালপুর এলাকায় এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার হওয়ার পরই আক্রান্ত হন নাবালিকার বাবা। তাঁকে লাঠি ও হাঁসুয়া দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম বাপি বারুই। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার একটি নাবালিকাকে উত্যক্ত করছিল সে। এমনকী বাপির উৎপাতে নাবালিকার স্কুলে যাওয়া দায় হয়ে গিয়েছিল। বাপিকে বেশ কয়েকবার বুঝিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
‘সবাইকে ধন্যবাদ’, স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের শুভেচ্ছা বার্তার জবাব মোদীর
সম্প্রতি নাবালিকার বাড়ি গিয়ে হাজির হয় সে। নাবালিকার বাবা তাঁকে বেঁধে রেখে বামনগোলা থানায় খবর। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ, দিন কয়েকের মধ্যেই জামিন পেয়ে যায় বাপি। এর পর তার পরিবারের সদস্যরা লাঠি ও ধারালো হাতিয়ার নিয়ে হামলা চালায় নাবালিকার বাবার ওপরে। তাঁকে লাঠি ও হাঁসুয়া দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বামনগোলা থানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে একজন দুষ্কৃতী কয়েক দিনের মধ্যে জামিন পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা। আর জামিন পেল তো কেন নাবালিকার পরিবারের ব্যবস্থা পুলিশ করল না প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মারধর ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন নাবালিকার বাবা।