দুর্গারূপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোলে আছেন গণেশ পুজো। যা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল মালদহের একটি ক্লাব। এবার সেই ক্লাবেই চলল চটুল গানে নাচ। সেই নাচের তালে তালে কোমর দোলালেন অনেক ক্লাব-সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন। স্বভাবতই ক্লাবের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ সংঘের পক্ষ থেকে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা যায়, সেখানে একের পর এক হিন্দি গানের সঙ্গে সঙ্গে যুবতীদের কোমর দোলাচ্ছেন। মঞ্চের নীচে তখন প্রচুর দর্শক। তাঁরাও নাচের সঙ্গে তাল মেলাতে আর মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত। কখনও আবার গণপতি বন্দনার নামে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য করতে দেখা গিয়েছে এলাকার ছেলেপুলেদের। এই ঘটনার পরই ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এই ভিডিয়ো সামনে আসার পরই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের মধ্যেই অনেক সক্রিয় কর্মীরাই এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ঠিক মেনে নিতে পারেননি। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা যাঁরা ছিলেন, তাঁদের এভাবে শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা ঠিক হয়নি। নাচ–গান সবকিছুই হবে। কিন্তু কোনওভাবেই শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা ঠিক নয়।
তবে বিরোধীরা গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দায় সরব হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, যেদিন থেকে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছেন, সেদিন থেকে বাংলায় অপসংস্কৃতির সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি আর নেই। রাজ্যে সংস্কৃতি এখন কোনও জায়গায় নেমেছে যে প্রত্যন্ত গ্রামে অপসংস্কৃতি পৌঁছে গিয়েছে। সমাজকে কলুষিত করা হচ্ছে। নরসংহারকারিণী মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্গারূপে দেখাচ্ছেন। গণেশকে বিকৃত করে দেখাচ্ছেন। লজ্জা করা উচিত। দয়া করে এগুলি করবেন না। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানবেন না।