মালদার মোথাবাড়িতে ঘটে যাওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর জেলা পুলিশ প্রশাসন। এলাকা শান্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে বা হচ্ছে, সমাজমাধ্যমে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে মালদা জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে, এই প্রেক্ষাপটে আমজনতার কী করণীয় এবং কী একেবারেই করা উচিত নয়, সেই বার্তাও পুলিশের তরফে স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে।
আজ (শুক্রবার - ২৮ মার্চ, ২০২৫) বিকেল চারটে নাগাদ মালদা জেলা পুলিশের করা ফেসবুক পোস্ট অনুসারে - সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী সংঘর্ষের নেপথ্যে যাঁদের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ছ'টি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মামলাগুলির মধ্য়ে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা যেমন রয়েছে, তেমনই আমজনতার অভিযোগের ভিত্তিতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি সংবেদনশীল এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। সাতটি মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে সমগ্র এলাকায় সমানে টহল দিচ্ছেন পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা।
এই কাজে মালদা জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করতে অন্য়ান্য ইউনিট থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী আনা হয়েছে। পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে এবং কোনও জায়গা থেকে ন্যূনতম আশঙ্কাজনক কোনও তথ্য এলেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যাতে নতুন করে কোথাও কোনও অশান্তি না ছড়ায়। একইসঙ্গে, মালদা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এও স্পষ্ট করা হয়েছে যে তাদের তরফ থেকে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়নি। বা কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতয়েন করা হয়নি।
একইসঙ্গে আমজনতার প্রতি জেলা পুলিশের বার্তা, তাঁরা যেন কোনও ধরনের গুজবে কান না দেন এবং প্ররোচনায় পা না দেন। সমাজমাধ্যমে যেন কোনও ভুয়ো তথ্য না ছড়ানো হয় এবং কেবলমাত্র স্বীকৃত সরকারি সূত্র মারফত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা তথ্যের উপরেই নির্ভর করা হয়।
কিন্তু, এরপর যদি কেউ বা কারা সমাজমাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে ভুয়ো তথ্য বা গুজব ছড়িয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াতে চান, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকালও (বৃহস্পতিবার - ২৭ মার্চ, ২০২৫) একইভাবে মালদা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মোথাবাড়ির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে আমজনতাকে সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছিল।