হরিশ্চন্দ্রপুরে মাঝরাতে এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ঢুকেই ঘুমন্ত অবস্থায় চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল। তার জেরে আজ, শনিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। আর তাঁর স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইংরেজবাজারের কাউন্সিলর দুলাল সরকারের হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন কাটতে না কাটতেই এবারে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় আবার খুনের ঘটনা ঘটল। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশলপুর গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ। বৃদ্ধের স্ত্রী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এদিকে চাঁচল হাসপাতালে ওই বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আর অপর দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন নিহতের স্ত্রী। মৃত বৃদ্ধের নাম মহম্মদ জসিমউদ্দিন (৭০)। কুশলপুর গ্রামের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ দম্পতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন বৃদ্ধ–বৃদ্ধা। তখনই বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত বৃদ্ধ দম্পতিকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। মহম্মদ জসিমউদ্দীন (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বিবির (৪৫) চিৎকারের আওয়াজ শুনে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন। আর এসে দেখতে পান ওই দুই বৃদ্ধ দম্পতি রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেদের বারান্দায় পড়ে আছেন। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গ–বিজেপির নেতৃত্ব নিয়ে ‘বেসুরো’ বিধায়ক, ফুলবদল কি করবেন? আলোড়ন তুঙ্গে
অন্যদিকে কেউ বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে কোপায় বলে মনে করছে পুলিশ। এই আহত দু’জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মহম্মদ জসিমউদ্দিনের মৃত্যু হয়। আর তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বিবিকে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজের স্থানান্তর করা হয়। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিয়ে নানা চর্চা করছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এছাড়া এই হত্যার নেপথ্যে দম্পতির ছোট জামাই থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কারণ ৬ মাস আগে বৃদ্ধের ছোট মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেন। তারপর থেকেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত। সম্প্রতি মেয়ে আবার বাপের বাড়িতে ফিরে আসে। সেই বদলা নিতেই হয়তো এই হত্যাকাণ্ড ছোট জামাই ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। আর যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তার পাশের বাড়িতেই বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে–বউমারা থাকেন। এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলেও তাঁরা কেউ টের পাননি বলেই দাবি।