প্রকাশ্য দিবালোকে মালদা গাজোল সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। আজ, বুধবার গাজলের একটি সমবায় ব্যাঙ্কে হানা দিয়ে ক্য়াশিয়ারকে গুলি করে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল ডাকাতরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। ভরদুপুরে সমবায় ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই দুঃসাহসিক ডাকাতি পূর্ব–পরিকল্পিত বলে মনে করছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের হিসাবরক্ষককে গুলি করে পালানোর সময় বোমা ফাটায় ডাকাতরা। আহত ব্যাঙ্কের কর্মীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ব্যাঙ্কে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পলাতক ডাকাতদের খোঁজে চলছে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। গুলি লাগে ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের পেটে। আহত ক্যাশিয়ারকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে তড়িঘড়ি রেফার করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব এই ডাকাতির বিষয়ে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। আর জেলাজুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রক্তক্ষয়ী আন্দোলন থেকে স্বাভাবিকের পথে বাংলাদেশ, কমপক্ষে ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে
ব্যাঙ্ক কর্মীর সূত্রে খবর, প্রায় ৭–৮ জন ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ব্যাঙ্কের সামনে বোলেরো গাড়ি করে আসে। তারপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে মুখে মাক্স লাগানো অবস্থায় হাতে পিস্তল নিয়ে ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ডাকাতদের পিছু নিয়েছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ ব্যাঙ্কে ক্যাশিয়ারের নাম যোগেশ্বর মণ্ডল (৩৫)। তাঁর বাড়ি শিক্ষক পল্লী এলাকায়। গত দু’মাসে রাজ্যে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সদ্য পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। তখন গুলিও চলেছে। তার পরেই হাওড়ার ডোমজুড়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই সব কটি ঘটনাতেই বিহার–ঝাড়খণ্ডের যোগ মিলেছে। ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতারও হয়েছে কয়েকজন।
তাছাড়া গাজোলের ঘটনা পূর্ব–পরিকল্পিত সেটা বোঝা যাচ্ছে। বিহার বা ঝাড়খণ্ডের যোগ আছে কিনা এই ডাকাতির ঘটনার নেপথ্যে সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কাদের হাত আছে সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাকাতির পর কোন দিকে গিয়েছে ডাকাতদল, সেদিকে ধাওয়া করেছে পুলিশ। ডাকাতরা এই রাজ্যেই আছে নাকি সীমানা পেরিয়ে ভিন রাজ্যে ঢুকে পড়েছে সেটাও দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা স্থানীয় কারও হাত আছে বলেই মনে করছেন।