আবারও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। এবার মালদা জেলার অন্তর্গত সমবায় সমিতির নির্বাচনের আগেই বিরোধী শূন্য হয়ে গেল। আর তার জেরে জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেসের। মালদা বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ, মঙ্গলবার ছিল সমবায় সমিতির মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেখানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মনোনয়ন জমা পড়ে। এই মনোনয়নে ৯টি ভোট মেম্বার ছিল। যেখানে দেখা গিয়েছে। ৯টিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেয়। আর কোনও বিরোধী দল প্রার্থীই দিতে পারেনি। তাই ফাঁকা মাঠে কার্যত গোল দিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির।
এদিকে আজ এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, বিরোধী কোন দলের প্রার্থী না থাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৯জন প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করেন সমবায় সমিতির নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি, বামনগোলা ব্লক সভাপতি অশোক সরকার, অমল কিস্কু –সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা–কর্মীরা। মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বারবার আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। কদিন আগে দুলাল সরকারকে খুন করা হয়। আর মালদার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের উপরও হামলা হয়েছে। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জিতল।
আরও পড়ুন: ‘আমি তোমাদের অ্যাসোসিয়েশন ভেঙে দেব’, ম্যানহোল কাণ্ডে মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা মমতার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই জয় আসায় খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জয়ী প্রার্থীদের মালা পরিয়ে এবং সবুজ আবির খেলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রহিম বক্সি এই জয় নিয়ে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বড় বড় কথা বলছিল বিরোধীরা। কিন্তু মনোনয়নই জমা দিতে পারেনি। সুতরাং মানুষ যে বিরোধীদের সঙ্গে নেই সেটা স্পষ্ট।’
মনোনয়ন জমার আগে দেখা গিয়েছিল, বিরোধীরা জানাচ্ছিল তারা ভোটে জিতবে। যদিও আজ আর তাঁদের দেখা নেই। মনোনয়নে উপস্থিত নেই বিরোধীদের কেউ। ফলে বিরোধীশূন্য হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের ৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের পাশে থাকেন। মানুষের হয়ে কাজ করেন বলে জানান সকল নেতা–কর্মীরা। তাই বিরোধী শূন্য হয়ে মনোনয়নের দিন দেখা গেল না। এটাই বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার নেতারা।