গত কদিন ধরে বাংলার বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বিএসএফ–বিজিবি দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার মালদার শুকদেবপুর এবং কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে সমস্যাও হয়েছে। কিন্তু আজ, শনিবার হামলার মুখে পড়ল বিএসএফ। এবার পাচারকারীরা এপারে প্রবেশ করতে হামলা চালায়। আর তার জেরে উত্তপ্ত মালদার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে চলল গুলি। উত্তেজনা ব্যাপক ছড়াল সীমান্তবর্তী এলাকায়। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে। মালদার বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের পাচারকারীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে মালদায় নওয়াদা আউটপোস্টে বিএসএফের ১১৯ নম্বর ব্যাটালিয়ন দায়িত্বে আছে। তাদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে গুলি ছুড়তে হয় বিএসএফ জওয়ানদের। আর বিএসএফের তাড়া খেয়ে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মালদার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে গিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিএসএফ জওয়ানদের দিকে তেড়ে যায় ওইসব অনুপ্রবেশকারীরা। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলে তুমুল আক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: উত্তরপাড়া হাসপাতালের পরিত্যক্ত বহির্বিভাগে মদ্যপানের আসর, সমাজবিরোধীদের ভিড়
অন্যদিকে বিএসএফ সূত্রে খবর, মালদার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভিড় জমছে দেখেই সন্দেহ হয়। তাই সেই ভিড়ের দিকে এগিয়ে যায় কর্তব্যরত দুই জওয়ান। তখনই তাদের উপর ঘন কুয়াশার মধ্যে থেকে চলে আক্রমণ। জওয়ানদের বন্দুক কেড়ে নেওয়া চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু ওই দুই জওয়ানকে পেরিয়ে বেশি দূর ঢুকতে পারেনি। তাই তাদের কার্যসিদ্ধি হয়নি। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শূন্যে গুলি চালায় দুই জওয়ান। গুলির ভয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে নিজেদের প্রাণ হাতে করে পালায় ওই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা।
এছাড়া ২ রাউন্ড ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করেন বিএসএফ জওয়ানরা। গুলির শব্দ শোনার আগে বিএসএফ জওয়ানদের উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তাই প্রাণ বাঁচাতে ২টি গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তখন ওই এলাকায় আরও জওয়ানরা জড়ো হন। আর পিছু হঠে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়। আর ভারতের দিকে যারা ছিল তারা গা–ঢাকা দেয়। মালদার এই এলাকায় এখনও অস্থায়ী কাঁটাতার আছে। তাই আপাতত এই রুটটিকেই অন্যতম ট্রানজিট রুট তৈরি করে ফেলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বলে অভিযোগ।