বড়দিনের মরশুমে ৫০, ১০০, ২০০ টাকার নোট আকাশ থেকে পড়ছে। এমনকী ২ টাকা, ৫ টাকার কয়েনও পড়ছে টুপটাপ। তা দেখে অনেকের প্রশ্ন, বিশ্বপিতা দিচ্ছেন নাকি? নিজের জন্মদিনের আগে বাংলার দিকে মুখ তুলে তাকালেন যিশু। এইসব কথাও শোনা গেল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে মালদার হবিবপুরে। কেউ কেউ সব কাজ ফেলে ওই টাকা–পয়সা সংগ্রহ করতে দৌড়েছেন। ছাতিয়ানগাছি কাঠের সেতু এলাকার এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদি ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর পড়ে টাকা–পয়সা। হরির লুঠের বিরাম নেই সকালেও। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, কেমন করে এই টাকা পড়ছে? কে ফেলছে? কোথা থেকে আসছে? সেই উত্তর কেউ পায়নি। বরং হতবাক হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে এলাকার বাসিন্দারা। অনেকেই আবার বলছেন, আকাশ থেকে নয় গাছ থেকে এই টাকা–পয়সা পড়ছে। এই এলাকায় গাছগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে কোনও রহস্যও বলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অলৌকিকতার কাহিনীও ছড়িয়ে পড়েছে। রসিকতা করে আবার কেউ কেউ বলেছেন, এটা দুর্নীতির কালো টাকা নয় তো? প্রশ্ন তুলেও সেই টাকা–পয়সা নিতে কেউ দ্বিধা করেননি।
আরও পড়ুন: বাংলার তিন জেলায় ২২ কোম্পানি জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বিএসএফ ডিজির
ওই টাকা–পয়সার লোভে মঙ্গলবার সকালে আবার ছাতিয়ানগাছি এলাকায় ভিড় উপচে পড়ে। টাকা কুড়োতে মানুষের ভিড় দেখা যায়। আট থেকে আশি, সব বয়েসের মানুষই ছুটেছেন। এই আবহে একজন শিশু দুশো টাকার একটি নোট পেয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে হবিবপুর থানার ছাতিয়ানগাছি কাঠের সেতু এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ পৌঁছে খোঁজখবর শুরু করেছে। অনেকে আবার ক্যামেরার সামনে কড়কড়ে নোট হাতে ছবি তুলেছেন। এসবের নেপথ্যে কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন জানান, এরকম একটা বিষয় শুনেছি। তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া ২০১০ সালে কলকাতায় বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে একটি বাড়ি থেকে টাকা ওড়ার খবরে হইচই পড়ে যায়। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব হালদার বলেন, ‘আকাশ থেকে টাকা পড়ছে। দেখা গিয়েছে কখনও ২০০, কখনও ৫০ টাকা, কখনও ৫ টাকা, ২ টাকা পড়ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে জমায়েত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে টাকা কুড়িয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।’ স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন সরকারের কথায়, ‘কোথা থেকে এই টাকা আসছে কেউ বলতে পারছে না। আমাদের মনে হয় কেউ টাকা ফেলে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কেন ফেলছে জানি না। সবাই বলছিল গাছ থেকে টাকা পড়ছে।’