সন্দেহের বশে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন কোনও নতুন ঘটনা নয়। তবে মালদার মানিকচকের সতীশ মণ্ডল যা করলেন তা এক নতুন নজির। স্ত্রী পরকিয়ায় লিপ্ত, এই সন্দেহে তাঁর গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঢুকিয়ে দিলেন তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে মানিকচকের নাজিরপুরের বেগমগঞ্জের বাসিন্দা সতীশের বিয়ে হয়। দম্পতির ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। তাদের বয়স ১৩ বছর ও ৮ বছর। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন সতীশ। এই নিয়ে চলত নিত্য অশান্তি। স্ত্রীকে মারধর করতেন সতীশ। ছেলেরা মাকে বাঁচেতে এলে তাদেরও ছাড়তেন না তিনি। এমনকী সতীশের পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাঁর হাতে মার খেয়েছেন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন সতীশ। স্ত্রীর গলা টিপে ধরেন তিনি। কোনওক্রমে সুজাতা তাঁর হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করলে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঢুকিয়ে দেন প্রৌঢ়। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থানায় যান বধূ। সেখানে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
মানিকচক থানার IC পার্থসারথি হালদার বলেন, ‘নির্যাতিত বধূ স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত পলাতক। খোঁজ খবর চলছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।’
মনোবিদরা বলছেন, সন্দেহ একরকমের মানসিক রোগ। নানা কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা ও উপযুক্ত কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তা অনেকটাই সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু এব্যাপারে সচেতনতার অভাব ও লোকলজ্জার ভয়ে প্রায় কেউই সেই পথ মাড়ান না।