সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে পুলিশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার পুকুরিয়া থানা এলাকার খনিবাথান গ্রামের। স্ত্রীকে খুনের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই পুলিশকর্মী। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে তার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিহত বধূর নাম মাম্পি মণ্ডল। পুরাতন মালদার পোপরা এলাকার বাসিন্দা মাম্পির ৭ বছর আগে জয়ন্তর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির চার বছর ও ১ বছকেক ২টি ছেলে রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাম্পিকে সন্দেহ করত তাঁর স্বামী জয়ন্ত। স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করত সে। সেজন্য মাঝেমাঝেই স্ত্রীকে পুলিশের লাঠি দিয়ে মারধর করত। শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে বাড়ির পাশে গাছে দেহ ঝুলিয়ে দেয় জয়ন্ত। এর পর দেহ বাড়ির পাশের একটি গাছে ঝুলিয়ে দেয় সে। সকালে গ্রামবাসীরা দেহ দেখতে পেলে উত্তেজনা ছড়ায়। জয়ন্তকে ঘিরে ধরে মারতে উদ্যত হন তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে পুকুরিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করেন জয়ন্ত।
মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই মাম্পির ওপর নির্যাতন চালাত জয়ন্ত। পুলিশের লাঠি তার সঙ্গেই থাকত। সেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করত সে। তবে স্ত্রীকে সে মেরে ফেলতে পারে সেকথা কখনও কেউ ভাবেনি।