বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাড়ির গৃহবধূই রোজ মধুচক্র বসাত, পর্দাফাঁস করল চাঁচল থানার পুলিশ, নেপথ্যে কী?

বাড়ির গৃহবধূই রোজ মধুচক্র বসাত, পর্দাফাঁস করল চাঁচল থানার পুলিশ, নেপথ্যে কী?

মধুচক্রের আসর বসাত বাড়ির গৃহবধূই।

বিকেলের মধ্যে যুবকরা এসে আলাদা আলাদা ঘরে অপেক্ষা করে। আর সন্ধ্যে নামতেই যুবতীরা সেখানে প্রবেশ করে। গোটা প্রক্রিয়াটি বাড়ির গৃহবধূ তৈরি করে। বিনিময়ে মোটা টাকা উপার্জন। সোমবার মাঝরাতে চাঁচল থানার পুলিশ অভিযান চালায় ওই বাড়িতে।

সন্ধ্যে নামলেই বাড়ি সেজে ওঠে বাহারি আলোয়। যেন আভিজাত্যের পরিচয় দেওয়া হয়। কিন্তু এই আলো আঁধারির মধ্যেই দুটি ছায়া একবৃত্তে মিশে যায়। হাই–হিল জুতোর খটমট শব্দে অপরিচিত যুবতীদের নিত্য আনাগোনা চলছিল সেখানে। ছোট ছোট ঘরের দরজা নিমেষেই বন্ধ হয়ে যায়। নিয়ন আলোয় তখন উদ্দাম যৌনতা ধরা দিত সেখানে। আর বাড়ি থেকে ভেসে আসত গানের কলি—‘‌আমি যে তোমার, শুধু যে তোমার’‌। এভাবেই নিত্যদিন মধুচক্রের আসর বসাত বাড়ির গৃহবধূই। যার পর্দাফাঁস করল পুলিশ।

ঠিক কী খবর মিলেছে?‌ পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, মালদহের চাঁচল সদরের একটি বাড়িতে মধুচক্রের নিয়মিত আসর বসছে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। বিকেলের মধ্যে যুবকরা এসে আলাদা আলাদা ঘরে অপেক্ষা করে। আর সন্ধ্যে নামতেই যুবতীরা সেখানে প্রবেশ করে। গোটা প্রক্রিয়াটি বাড়ির গৃহবধূ তৈরি করে। বিনিময়ে মোটা টাকা উপার্জন। সোমবার মাঝরাতে চাঁচল থানার পুলিশ অভিযান চালায় ওই বাড়িতে। পাকড়াও করা হয় দুই অপরিচিত যুবক–দুই যুবতী এবং বাড়ির গৃহবধূকে(মালিক)।

কী দেখতে পেল পুলিশ?‌ সূত্রের খবর, ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করতেই পুলিশের নজরে আসে সেই অপ্রকৃতস্থ দৃশ্য। তখন লজ্জা নিবারণ করতে ফেলে দেওয়া অন্তর্বাস কুড়িয়ে নিচ্ছে সকলেই। আলুথালু বিছানা সাক্ষ্য বহন করছে যৌনতার। পুলিশের আর কিছুই বুঝতে বাকি থাকল না। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। বাড়ির গৃহবধূ গা–ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলায় তা সম্ভব হয়নি। আজ, মঙ্গলবার দুই যুবক ও বাড়ির গৃহবধূকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। সবাইকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির গৃহবধূকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না সে এই কাজ চালাচ্ছে। তবে বাড়িতে প্রায়ই যুবক–যুবতীদের আনাগোনা একটা সন্দেহ তৈরি করছিল। সন্ধ্যে নামতেই গোটা বাড়ি বাহারি আলোয় সেজে উঠত। নানারকম রোম্যান্টিক গানের কলি ভেসে আসত। তবে খুব জোরে গান চলত না। এক যুবক এখানে রোজই একটা করে বাক্স দিয়ে যেত। পুলিশের হানায় গোটা জানা গেল, সে মদের বোতল–সহ বাক্স দিয়ে যেত। যৌনতার সঙ্গে ফোয়ারা উঠত হুইস্কির পেয়ালার। পুলিশের অভিযানে গোটা বিষয়টি সামনে আসে।

বন্ধ করুন