আজ, শনিবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে মালদায় যান মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর সেখানেই দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার সময় এবং ত্রাণ বিলির সময় তাঁকে ফোনে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মালদার মানিকচকের গোপালপুরে বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। সেখানে ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে বন্যাদুর্গতদের সঙ্গেও কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মানিকচকের গোপালপুরে বন্যা দুর্গতদের হাতে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। আর তখনই তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। লাউডস্পিকারের মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা শোনান ফিরহাদ। দুর্গতদের পাশে থেকে সবরকম ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সেখানের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে পাহাড়ে। সমতলের অবস্থাও শোচনীয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এই আবহে সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার আগে মালদায় পাঠিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে। মালদায় বানভাসী কয়েক লক্ষ মানুষ। জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। আজ পুরমন্ত্রী জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। তার মধ্যে ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘আমি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতাম তৃণমূল পছন্দ করত না’, জহরের পোস্টে অস্বস্তি
অন্যদিকে মালদার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর অঞ্চল এখন বন্যায় ভাসছে। ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ির। বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবন। শনিবার তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য অফিসাররা। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। জেলাশাসককেও ফোন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন ভুতনির তিনটি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে। বাড়ির ছাদে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসী মানুষজন। গঙ্গার জলে ভাসছে একের পর এক গ্রাম। আর ফুঁসছে ফুলহার নদীও।
এছাড়া আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির একাধিক জায়গা জলমগ্ন। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় সেখানের আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে এলেও মালদা যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই আজ ফিরহাদ হাকিমকে সেখানে পাঠিয়েছেন। মানিকচকে ফিরহাদকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। প্রত্যেক বছর এটা হয়। সেতুটা ভেঙে যাওয়ায় আরও কষ্ট হচ্ছে। সেতু আমরা তৈরি করে দেব। এটা আপনারা ভরসা রাখতে পারেন। আমাদের কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু বর্ষার জন্য কাজটা করতে পারিনি। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্য়ও দেওয়া হবে। ববিকে পাঠিয়েছি। বাকি কিছু বলার থাকলে ওকে বলে দিন। আমি শুনে নেব। ডিএম, এসপিকেও বলব, মানুষ যা বলছেন সেটা শুনুন। ত্রাণে যেন কোনও ঘাটতি না হয়।’