ভ্যাকসিনের লাইনে বেনিয়মের প্রতিবাদ করায় সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে বৃদ্ধের মৃত্যুর দায় অস্বীকার করলেন মালদার পুলিশ সুপার। শুক্রবার অলোক রাজোরিয়া দাবি করেন, ‘অসুস্থকার কারণে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।’ সঙ্গে এব্যাপারে স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মালদা জেলার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের ধানগাড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আরজাউল হক (৬৮) বাড়ি থেকে কিছুদূরে বিশনপুরে একটি টিকাকরণ শিবিরে টিকা নিতে যান। অভিযোগ, তখন সেখানে টিকার লাইনে আইন ভেঙে পরিচিতদের ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে টানতে টানতে লাইন থেকে বার করে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে সিভিক ভলান্টিয়াররা। এর পরই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
এদিন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘ওই বৃদ্ধ আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ওখানে টিকাকরণ চলছিল। কয়েকজন লাইনে অপেক্ষা করতে করতে অধৈর্য হয়ে পড়েন। তার মধ্যে কয়েকজন টিকাকরণ কেন্দ্রের গেটে লাথি মারতে থাকেন। তখন এক সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তেজিত হয়ে ঘুসি চালিয়ে দেন।’
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার জড়িত বলে অনেকে ভাবছেন সঠিক তদন্ত হবে না। কিন্তু তেমন ভাবাটা ঠিক নয়। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবো। আপনারা অভিযোগ করুন, তদন্ত হবে।
যদিও পুলিশ সুপারের দাবি মতো লাথি মারার ঘটনা অস্বীকার করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর গিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বলেন, বৃদ্ধরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আর আপনারা নিজেদের লোককে ভিতরে ঢোকাচ্ছেন? এর পরই বিতণ্ডা শুরু হয়। তার জেরে মারধর করা হয় বৃদ্ধকে।