সীমান্তে বাংলাদেশি বাহিনীর লাগাতার প্ররোচনার মধ্যেই সেদেশের বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন রাজ্যের বণিকরা। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজশাহিতে মহদিপুর সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা ঠিল ভারত ও বাংলাদেশের বণিকদের মধ্যে। সেই বৈঠক বাতিল করেছে মালদা বণিকসভা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা বাংলাদেশি বাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বণিকরা।
মালদার মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চলে ভারতের। ওই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য রফতানি করে ভারত। পণ্য আমদানির বরাত নিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠকে বসেন সীমান্তের দুপারের আমদানি - রফতানিকারীরা। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজশাহিতে তেমনই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতে মালদা মার্চেন্ট অফ কমার্সের তরফে সেই বৈঠক বয়কটের ঘোষণা করা হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মালদার বৈষ্ণবনগরের শুকদেবপুর সীমান্তে বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। ভারতীয় ভূখণ্ডের গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতা করতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিজিবি। বাংলাদেশি দস্যুদের রুখতে বিএসএফের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ গ্রামবাসী এমনকী মহিলারাও। লাঠি সোটা নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন তাঁরাও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাঁটাতার বিহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে বিজিবি। যা তারা কোনও ভাবেই হতে দেবেন না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বাণিজ্য বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালদার বণিকরা। মহদিপুর সীমান্তে যার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশই। কারণ চাল থেকে বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা জিনিসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল বাংলাদেশ।