লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় শাসকদল তৃণমূলের মধ্যেও একাধিক জেলায় দেখা দিয়েছে ক্ষোভ বিক্ষোভ। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপু ও মালদায় তৃণমূলের ফল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। এবার দলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। এবার মালদায় কোতয়ালির কোনও সদস্যকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তার পরেও তৃণমূলের এই হারের কারণ কি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গনিখান চৌধুরীর বোনঝি।
আরও পড়ুন - ভোটে হার, ‘ষড়যন্ত্রে'র গন্ধ’? প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ
পড়তে থাকুন - জ্যোতিপ্রিয়, জীবনের বিধানসভায় পিছিয়ে TMC, বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকল পার্থ, মানিকের এলাকা
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন মৌসম। তখন ২ বারের কংগ্রেসি সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৯এ মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর কাছে হেরে যান তিনি। এর পর মৌসমকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মালদা তৃণমূলের অন্দরে মৌসমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বরাবর প্রশ্ন ছিল।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মালদা উত্তর কেন্দ্রে অবসরপ্রাপ্ত IPS প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দক্ষিণ কেন্দ্রে অধ্যাপক শাহনাওয়াজ আলি রায়হানকে প্রার্থী করে। কিন্তু ২ কেন্দ্রেই হার হয়েছে তৃণমূলের।
কংগ্রেসের কেল্লা বলে পরিচিত মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে জিতেছেন বিদায়ী সাংসদ তথা কোতয়ালির সবচেয়ে বরিষ্ঠ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরীর পুত্র ইশা খান চৌধুরী। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি তৃতীয় হয়েছেন। মালদা উত্তর কেন্দ্রেও হেরেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার ২ আসনেই দলের হার নিয়ে মৌসম বলেন, ‘বহিরাগত প্রার্থী দলের জেলার কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের বুঝিয়ে যখন সক্রিয় করা হয় তখন আর সময় ছিল না। আর মানুও এই প্রার্থী গ্রহণ করেননি। কেন মালদায় বার বার দলের হার হচ্ছে তা ভেবে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন - হারের পর বিস্ফোরক দেবাংশু, দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই উগরে দিলেন ক্ষোভ, কী বললেন?
তবে মৌসমের যুক্তি মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল। তাদের দাবি, প্রার্থী নয়, দলের হারের কারণ আলাদা। মৌসম দাঁড়ালেও জিততে পারতেন না।
বলে রাখি, এবারের লোকসভা ভোটে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন মৌসম। কিন্তু তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল।