দশ বছর ধরে স্বল্প বেতনে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাঁরা। হাসপাতালে কর্মীদের অভাব তাঁরাই মেটাচ্ছিলেন। হঠাৎই শতাধিক অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বেতন দেওয়ার পদ্ধতিতে ভুল ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ চত্বরে। বিক্ষোভে নেমেছেন ছাঁটাইয়ের নোটিশপ্রাপ্ত ঠিকা কর্মীরা।
বিক্ষোভের ঘটনার জেরে হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, এত বছর ধরে কাজ করার পর তাঁদের স্থায়ীকরণের বদলে ছাঁটাই করে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলেই দাবি অস্থায়ী কর্মীদের।
অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, স্থায়ী কর্মীদের যে তহবিল থেকে বেতন নেওয়া হত, সেই পদ্ধতিই নাকি বেআইনি। এই কারণ দেখিয়ে ১৭৭ জন অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের নোটিশ দিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই নোটিশে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগস্ট মাস থেকে অস্থায়ী কর্মীদের আর কাজে আসতে হবে না। শুক্রবার রাতেই হাসপাতালের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা।
তাঁদের অভিযোগ, মালদহ হাসপাতাল যখন মেডিকেল কলেজ হয়, তখন থেকে তাঁরাই কর্মীদের অভাব মিটিয়েছেন। এখানে কেউ বেতন পান ৭ হাজার টাকা, তো কেউ ১০ হাজার টাকা। সাধারণত ল্যাবরেটরি কর্মী, অপারেটর ও স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে তাঁরা কাজ করেন। ছ’মাস অন্তর অন্তর তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হত। কর্মীদের আরও অভিযোগ, স্থায়ীকরণের দাবি উঠলে, নানা ধরনের টালবাহানা শুরু হত হাসপাতালে। তাঁদের দাবি, এখন স্থায়ী করার বদলে তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁদের বেতন দেওয়ার পদ্ধতিতে ভুল রয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।