শান্তিনিকেতকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলায় ফের একবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বোলপুরে দলীয় সভা থেকে নাম না করে বিজেপিকে ফের বহিরাগত বলে আক্রমণ শানান তিনি। নড্ডার ভুল ধরিয়ে দিলেও এদিন তাঁর নিজের ভাষণে ভুল করে বসেন মমতা। এদিন তিনি বলেছেন, ‘ন্যাচারালি এই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হয়ে থাকে।’
এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায় তার জন্মাবার ৬০ বছর বাদে এখানে তৈরি করেছিলেন বিশ্বভারতী। অথচ দেখুন, বিজেপির দিল্লির নেতারা এসে... যারা বহিরাগত, জানেই না বাংলার কালচার কী… রবীন্দ্রনাথ কী, নজরুল কী, নেতাজি কী, এমনকী গান্ধীজিকেও সম্মান দেয় না। তারা বলে গেলেন এসে, শান্তিনিকেতনে কবিগুরু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আরে কবিগুরু জন্মগ্রহণ করেছিলেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। তার ৬০ বছর বাদে তিনি শান্তিনিকেতন তৈরি করেছিলেন’।
এর পরই তাঁর প্রথমবার বিশ্বভারতী ভ্রমণের কাহিনী বলতে গিয়ে গোলমাল করে বসেন মমতা। বলেন, ‘আমি যখন প্রথমবার যাদবপুরের সাংসদ হয়েছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীরা ন্যাচারালি এই বিশ্বভারতীর উপাচার্য হয়ে থাকে। তখন রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমি বিশ্বভারতীর কোর্ট মেম্বার ছিলাম। আমাকে রাজীব গান্ধী সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। তখনই বিশ্বভারতীতে আমার প্রথম আসা’। তৃণমূলনেত্রীর দাবি করেন, রাজীব গান্ধী পড়ুয়াদের সামনে মমতাকে আইকন বলে উল্লেখ করেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বহিরাগতদের দল বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। দিল্লির বিজেপি নেতাদের বাংলার সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞতাকে এব্যাপারে হাতিয়ার করছে তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই বাড়বে এই ধরণের আক্রমণ।