বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে পৈতৃক ভিটেবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এরপরেই ভিটে বাড়ি ফেরত পেতে সোমবার সকাল থেকে শান্তনুর বিরুদ্ধে প্রয়াত বীণাপাণি দেবীর ঘরের বাইরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশন শুরু করেছেন মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। তাতে অবশ্য মমতাবালাও যোগ দিয়েছেন। তবে টানা ৪ দিন ধরে অনশন চালানোর ফলে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মধুপর্ণা।
আরও পড়ুন: ‘নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না হলে…’, সিএএ নিয়ে মোদীদের তোপ দেগে হুঁশিয়ারি মমতাবালার
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ঠাকুরবাড়ি চত্বরে অনির্দিষ্টকালের অনশন চালানোর সময় মধুপর্ণা ঠাকুর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। তখন চিকিৎসকরা মধুপর্ণা ঠাকুরকে পরীক্ষা করতে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, গত তিন দিন ধরে কিছু না খাওয়ার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে অনশন ভাঙতে রাজি নন মধুপর্ণা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এই অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মমতাবলার অভিযোগ, প্রায় এক মাস আগে বিজেপি নেতা শান্তনু সেন তাদের জোরপূর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন। তারপর থেকে একটি টিনের ছাদের ঘরে তাদের থাকতে হচ্ছে। এমনকী বড়মা’র মূর্তিতে পর্যন্ত তাদের প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সোমবার এই আন্দোলনে যোগ দেন একাধিক মতুয়া ভক্ত।
একটি খাটিয়া পেতে তার ওপরে বসেই আন্দোলন চালাচ্ছেন মমতাবালার মেয়ে। আর তার পিছনে একটি ব্যানার রয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমরণ অনশন। আমাদের পৈতৃক ভিটেবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার কি অপরাধ? তার জন্যই কি আমাদের ঘরছাড়া হয়ে থাকতে হবে? সমগ্র ভারতবাসী এর বিচার চাই।’
মধুপর্ণার অনশনকে নাটক বলে মন্তব্য করেছিলেন শান্তনু। তিনি বলেছিলেন, হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে জালিয়াতি চাপা দেওয়ার জন্যই এই নাটক করা হচ্ছে। ওই ঘরে তালা দেওয়া হয়নি। সেটা মতুয়াদের ঘর। আলাদা রয়েছে ঘরটি। আগামী দিনে সেই ঘরটিকে হেরিটেজ করা হবে।