বিএসএফ নিজেদের কাজ করবে। আর পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভা থেকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যখন বিএসএফ ইস্যুতে এই বার্তা দিচ্ছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী থানার আইসিদের এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আপনাদের বাংলাদেশ বর্ডার রয়েছে। করিমপুর থেকে শুরু করে। থানার আইসিদের বলব, একটু ঘোরাঘুরি বাড়ান। নাকাচেকিং বাড়ান। বিএসএফ আপনার এলাকায় গিয়ে কোনওরকম অনুমতি ছাড়া যেন কোনওকিছুতে জড়িয়ে পড়তে না পারে, সে বিষয়টিকেও নজরে রাখতে হবে।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'মানুষের উপর অত্যাচার হোক, সেটা আমি কোনওভাবেই সহ্য করব না।'
মুখ্যমন্ত্রী যখন জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফ ইস্যুতে এই বার্তা দিচ্ছেন, তখন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ–বিএসএফের মধ্যে সংঘাত কাম্য নয়। দুই বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।’