CAA ও NRC-র বিরোধিতা করে ফের একবার উদ্বাস্তুদের মন জেতার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বনগাঁ ও রানাঘাটের পর বুধবার কৃষ্ণনগর থেকে CAA-র কুফল বোঝালেন তিনি। দাবি করলেন, CAA-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে আসলে উদ্বাস্তুদের বিদেশি প্রমাণের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। এদিন সংসদে বিল পাশের প্রক্রিয়া নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে একযোগে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে আক্রমণ শানান মমতা। তবে এদিন নাম করে বিজেপি নেতাদের নিশানা করেন তিনি। নিশানা করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে।
এদিন যোগী আদিত্যনাথকে ভোগী বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মুখে যোগী আদিত্যনাথের নানা মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যোগীকে আক্রমণ করে মমতা এদিন বলেন, ‘উনি ভোগ করলে আপত্তি নেই।’
মমতার আক্রমণের মুখে পড়েন অনুরাগ ঠাকুরও। বলেন, ‘এই ধরণের মানুষদের মন্ত্রিত্বের দায়িত্বে থাকাই উচিত নয়।’ একই সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘এদের মুখে সারাক্ষণ শুধু পাকিস্তান। ওদিকে সকালে বিকালে এদের কথা বদলে যায়।’
সংসদে বিল পাশের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, ‘বিল পাশের আগে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছে না সরকার। সকালে নতুন বিল প্রস্তাব করে রাতে তা পাশ করিয়ে নিচ্ছে। বিলে কী রয়েছে তা জানার সুযোগ পাচ্ছেন না সাংসদরা।’
বলে রাখি, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রাজধানীর ভোটে CAA ঝড়ে পিছনে পড়ে গিয়েছে উন্নয়ন-সহ অন্যান্য প্রথাগত ইস্যুগুলি। শাহিনবাগ আন্দোলনকে হাতিয়ার করে এদিকে যখন ভোট বৈতরণী পার করতে মরিয়া বিরোধীরা, তখনই পালটা মেরুকরণের পথে হাঁটছে বিরোধী। কলকাতায় বসে সেই উত্তাপ বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। তাই কৃষ্ণনগর থেকে দিল্লির নেতাদের আক্রমণ শানাচ্ছেন তিনি। এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।