শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে সভা। সেই সভার জন্য লাগানো ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং শুভেন্দু অধিকারীরও ছবি রয়েছে। যাকে ঘিরে রবিবাসরীয় দুপুরে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে সভা রয়েছে পরিবহণমন্ত্রীর। সেই সভায় প্রধান বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেই এই সভা থেকে নতুন কিছু ঘোষণা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মান- অভিমান, রেষারেষির অবসান ঘটল?
কিন্তু কী ঘোষণা করবেন তিনি? সম্প্রতি তাঁকে ঘিরে জল্পনার শেষ নেই রাজ্যজুড়ে। সরকারি অনুষ্ঠানে কিংবা দলীয় সভায় তাঁকে গত কয়েক মাসে সে ভাবে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নিত্যদিন জল্পনা বেড়েই চলেছে। তিনি বিজেপি’র সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী কিনা, সেই প্রশ্নও শুনতে হয়েছে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। অবশেষে সেই দীর্ঘ জল্পনার বোধহয় অবসান ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন মনে করার কারণ হল, খোদ শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে এক সভা থেকে বলেছিলেন বাজারি মিডিয়া অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছে। যতক্ষণ তিনি কিছু না বলেন, দলীয় কর্মী ও ভালবাসার মানুষরা যেন কোনও কথা বিশ্বাস না করেন।
তার পর সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে পাওয়া গিয়েছে হলদিয়ার সুতাহাটায়। পরে পটাশপুরে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে নেত্রীর কথা বলতে শোনা যায় তাঁর মুখে।
শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীও সম্প্রতি স্পষ্ট করে দেন যে, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর বিজেপিতে যোগদানের প্রচার ভুয়ো। সেই দাবিই অনেকাংশে সত্য বলে প্রমাণ করল নন্দীগ্রাম। আগামী ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে শহিদ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান হবে।সম্প্রতি কাঁথি–সহ রাজ্যজুড়ে দল ও প্রতীকহীন শুভেন্দু অধিকারীর ব্যানারকে ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এবার সেই ব্যানারই জল্পনার নিরসন করল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে আগামী ১০ তারিখে শুভেন্দু অধিকারীর সভার সমর্থনে লাগানো ব্যানারে শুভেন্দুর সঙ্গে আছে তৃনমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। গত ৩১ অক্টোবর নন্দীগ্রামে অরাজনৈতিক বিজয়া সম্মেলনী থেকে আগামী ১০ নভেম্বর গোকুলনগর রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মহাসমাবেশের ডাক দেন শুভেন্দু। আর সেই সমাবেশের ব্যানারেই মমতার ছবি! যা জল্পনা বাড়িয়েছে।
নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক জুড়ে এই ব্যানার লাগানো হয়েছে। যদিও যিনি নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের প্রচারক, সেই নবনির্বাচিত যুব তৃণমূল সভাপতি শিবশংকর ভারতী বলেন, ‘এটা উৎসাহী কর্মীরা করেছে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছুই নেই। তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেন না।’ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে নন্দীগ্রাম।