পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জন্য স্থানীয় দলগুলির থেকেই পরিকল্পনা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সেই পরিকল্পনা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, ছটপুজো মিটে গেলেই আগামী নভেম্বরে ফের পাহাড়ে আসবেন।
মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাহাড়ের সামনে উন্নয়নের প্রচুর সুযোগ আছে। সেজন্য পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন আছে। তবে দার্জিলিং যে পশ্চিমবঙ্গেই থাকবে, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেখ, অনীত (থাপা) তুমি নতুন পার্টি তৈরি করেছ। অনেক অভিনন্দন। রোশনরাও গিরি) এখানে আছেন। তোমাদের একটা কথা বলতে চাই, অনেক রাজনৈতিক দল আছে। তৃণমূল কংগ্রেস তো আছেই। ছেড়েও দাও। তৃণমূল যেটা বলবে, সেটাই করবে। তোমরাও কথা শুনবে। তোমরাও কথা শুনছ। সেটা নয়। কাজ করেছ। অনেক কাজ করার অভিজ্ঞতা তোমাদেরও হয়েছে, ওদের হয়েছে। অনেক কাজ তোমরা করেছ। কিছু কিছু পলিটিকাল পার্টি ইলেকশনের আসে। দার্জিলিংকে রাজ্য বানিয়ে দেব - উলটোপালটা বলে পালিয়ে যায়। আজ প্রতি বছর সাংসদ জিতছে। বিধায়ক একটি বাদ দিয়ে সবকটা জিতেছে। এদের আসল উদ্দেশ্য হল - তোমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রাখা। এবার যদি তোমাদের বলি, তোমরাই আমাদের একটা প্ল্যান (পরিকল্পনা) দাও, কীভাবে পার্মানেন্ট সলিউশন (স্থায়ী সমাধান) করা যায়। দার্জিলিং বাংলার মধ্যে থেকেও আমি তোমাদের মদত করব (পশ্চিমবঙ্গেরই অংশ থাকবে দার্জিলিং)। আমি মদত করতে রাজি আছি। যাতে তোমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। প্রচুর স্কোপ (সুযোগ) আছে। কিন্তু ১০ বছর পরপর একটা করে মুভমেন্টে টোটালটা ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। লোকে ভয় আসে না।’
সেই পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি কমিটির গঠনের পরামর্শ দেন মমতা। তাতে যে চার-পাঁচজন সদস্য রাখতে বলেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন অনীক, রোশন, অমরনাথ রাই এবং গৌতম দেব। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুঙের নাম করেননি মমতা। তাঁদের মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকেও দেখা যায়নি।