ভারত সেবা সংঘের মহারাজকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো। শনিবার আরামবাগের গোঘাটার জনসভা থেকে মমতা দাবি করেন, মায়ের মন্দির যেখানে যেখানে আছে, তারা খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু কেউ-কেউ সেটা করে না। ভারত সেবা সংঘের যে মহারাজের কথা বলছেন, তিনি তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবেন না বলেছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য ওই মহারাজকে 'সাধু’ বলে বিবেচনা করেন না। সেইসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা দাবি করেন যে দিল্লি থেকে সাধু-সন্তদের কাছে নির্দেশ আসে। বিজেপির পক্ষে যাতে ভোট দিতে বলা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অন্যরা কাকে ভোট দেবেন, সেটা সাধু-সন্তদের দিয়ে বলানো হবে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
বহরমপুরের মহারাজকে নিয়ে কী বললেন মমতা?
মমতা বলেন, ‘কেউ-কেউ করে না। সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? না। এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেকদিন ধরে - কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবা সংঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার একটা শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে যে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু মনে করি না। তার কারণ তিনি ডিরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।’
আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশন নিয়ে মমতা
মমতা বলেন, ‘আমি চিহ্নিত করেছি, কে কে করেছেন। আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনকে কী হেল্প করিনি? সিপিআইএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, আপনাদের অস্তিত্ব নিয়ে, স্বাধিকার নিয়ে তখন আমি পুরো সমর্থন করেছিলাম। মা-বোনেরা আসত। তরকারি কেটে দিত। সিপিএম কিন্তু আপনাদের কাজ পর্যন্ত করতে দিত না। কিন্তু আমি জানি কয়েকজন, সবাই তো নয়। আমি শুনলাম আসানসোলের একটি মিশন আছে।’
নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার
সেখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, 'দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বলে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বল। কেন করবেন সাধু-সন্তরা এ কাজ? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। ওদের কাছে একটা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের যাঁরা সদস্য হন, যাঁরা দীক্ষা নেন, তাঁদেরকে আমি ভালোবাসতে পারি, আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন কোনওদিন ভোট দেয় না, এটা আমি জানি। তাহলে কেন আমি অন্যকে ভোট দিতে বলব? কেউ-কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করছে। সবাই নয়।'
আরও পড়ুন: অন্তত এক-দেড় মাসের জন্য জামিন দিন, কাতর আবেদন জ্যোতিপ্রিয়র. কারণটাও জানালেন