নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে গণ আন্দোলনের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইন পাশ হলেও রাজ্য সরকার তা মানবে না বলে ঘোষণা করলেন নেত্রী।
শুক্রবার দিঘার জনসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘নো এনআরসি, নো ক্যাব। আইন পাস হলেও আমাদের সরকার তা কার্যকর করবে না। সকলকে বলছি, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করুন। সব রাজ্যে গণ আন্দোলন করুন। বাংলাতেও গণ আন্দোলন গড়ে তুলুন।’
সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন, রবিবার থেকে প্রতি জেলায় প্রতিবাদ মিছিল বের করবে তৃণমূল। সোমবার কলকাতার মিছিলে তিনি স্বয়ং নেতৃত্ব দেবেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। দুপুর একটায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে সমবেত হয়ে গান্ধী মূর্তি ছুঁয়ে জোড়াসাঁকোতে শেষ হবে প্রতিবাদ মিছিল। ওই দিন জেলায় জেলায় ব্লকস্তরে এনআরসি ও সিএবি বিরোধী মিছিলের আয়োজন করবে রাজ্যের শাসকদল।
একই ভাবে মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল বের হবে। বুধবার প্রতিবাদ কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেছেন নেত্রী।
তবে বিক্ষোভ মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ করুন। আমি নিজেও সেই সব আন্দোলনে যোগ দেব। গায়ের জোরে সিএবি পাশ করেছে। কিন্তু বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। প্রত্যেক রাজ্যের আলাদা আবেগ আছে, আলাদা বিষয় আছে।’
অন্য দিকে, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল রুখতে দেশের ১৬ জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই ভরসা রাখছেন জেডিইউ সহ-সভাপতি তথা রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশান্ত কিশোর। এ দিন সকালে তিনি টুইট করেছেন, ‘সংসদে ওদের (বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বিচার বিভাগকে ছাপিয়ে ভারতের আত্মাকে রক্ষা করার দায়িত্ব এবার দেশের ১৬ জন অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর। পঞ্জাব, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন বাকিদেরও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা দরকার।’