বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্য়া পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকের পরই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে স্নেহের কেষ্টর সঙ্গে মমতা দেখা করবেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। সে বিষয়ে আপাতত তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রায় দু'বছর পরে বোলপুরের নিচুপট্টিতে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে সকালেই অনুব্রত বলেছিলেন যে শরীর ভালো থাকলে মমতার সঙ্গে দেখা হবে। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে আসছেন। দিদির জন্য আছি, বরাবরই থাকব।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি দিদিকে ভালোবাসি। দিদি আমায় ভালোবাসে।'
মমতা ও কেষ্টর সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল
তবে দু'বছর পরে বাড়ি ফিরেই প্রিয় 'দিদি'-র সঙ্গে দেখা হল না অনুব্রতের। ২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পরে জামিন পেয়ে যেদিন অনুব্রত নিজের বাড়িতে ফেরেন, সেদিন তাঁর জেলা বীরভূমেই আসেন মমতা। বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
আর তার জেরে জল্পনা ছড়িয়েছিল যে অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করে যাবেন মমতা। প্রশাসনিক বৈঠকে হয়ত দেখা করবেন না। আলাদাভাবে দেখা করবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই পথে হাঁটেননি। যিনি অনুব্রতের গ্রেফতারির পরে বলেছিলেন যে ‘কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনব।’
‘বীরের’ মতোই অভ্যর্থনা অনুব্রতকে
তবে মমতা দেখা না করলেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অনুব্রতকে ‘বীরের’ মতোই স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর জামিনের খবর মিলতেই বীরভূমে সবুজ আবির উড়তে শুরু করেছিল। আর শেষপর্যন্ত সাড়ে ২৫ মাস পরে অনুব্রত যখন নিজের ‘গড়ে’ ফেরেন, তখন উচ্ছ্বাসের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। সবুজ আবির মেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। একে অপরকে সবুজ আবির মাখিয়ে দেন। বিলি করেন নকুলদানা। গাড়ি থেকে নামার সময় অনুব্রতকে লক্ষ্য করে পুষ্পবর্ষণও করা হয়।
পায়ে-কোমরে ব্যথা অনুব্রতের
তারইমধ্যে অনুব্রত জানান যে একটু অসুস্থ আছে। ব্যথা আছে পায়ে। কোমরেও ব্যথা রয়েছে বলে জানান অনুব্রত। তাঁর ওজনও কমে গিয়েছে অনেকটা। সোমবার রাত ন'টা নাগাদ যখন তাঁকে তিহাড় জেল থেকে বের করা হয়, তখন বেশ রোগা লাগছিল তাঁকে। তবে চোখে-মুখে ধকলের স্পষ্ট ছাপ ছিল। সেই ধকল নিয়েই কলকাতার বিমান ধরেন অনুব্রত। আর আজ সকালে ফেরেন বীরভূমে।