তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এবার কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্গাপুজোয় বাইরে বেড়াতে যাওয়া যাবে না। বাতিল করতে হবে পুজো সফর। এমনকী এই উৎসবের সময় এলাকায় থাকতে হবে বলে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। দলীয় স্তরে এই নির্দেশিকা জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধায় বলেছেন, ‘মানুষের কাজ করতে হবে, যাতে কেউ উৎসবের সময় বিপদে না পড়েন। মানুষ তো এই জন্য ভোট দেন। বিপদে তাঁরা যদি পাশে না পান তাহলে ভোট দেবেন কেন?’
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্গাপুজোয় শান্তি বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অনেক এমএলএ–এমপি আছেন যাঁরা দুর্গাপুজোর সময় বেড়াতে চলে যান। কেন যান? কোটি কোটি মানুষ তখন রাস্তায় থাকে। বাইরে থেকে লোক আসে। বিপদ হলে কে দেখবে? আপনি যদি বিপদে পাশে না থাকেন, মানুষ থোড়াই কেয়ার করবে। আমি পুজোর সময় জীবনে কলকাতা ছাড়ি না।’ সুতরাং তাঁর এই নির্দেশের পর কেউ রাজ্য ছাড়বেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আর কী নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? একজন জনপ্রতিনিধি কেমন হবেন সেটা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মানুষের বন্ধু হতে হবে। একজন প্রশাসকের বড় কাজ যোগ্য মানুষ হওয়া। রাফ এবং টাফের পাশাপাশি সফট হতে হবে। মানবিক মুখ নিয়ে কাজ চাই। যে অন্যায় করছে তাকে যেমন বকতে হবে। আবার যে খেতে পাচ্ছে না তার মুখে খাবার তুলে দিতে হবে।’
ক্লাবগুলিকে কী নির্দেশ দিয়েছেন? ইতিমধ্যেই ৪৩ হাজার ক্লাবকে পুজোয় ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার কিছু ক্লাব অনুদান পাচ্ছে না। তা নিয়ে মমতা বলেন, ‘যাঁদের রেজিস্ট্রেশন আছে অথচ আপডেট করাননি তাঁরা টাকা পাচ্ছে না। তাঁরা দ্রুত এই কাজটা করে নিন। ক্লাবগুলোকে সবাই সাহায্য করুন। মনে রাখবেন সরকারি কাজ নিয়মকানুন মেনে করতে হবে। না হলে পিল খেতে হবে। আমি অবশ্য এই পিল মানে ওষুধ বোঝাচ্ছি।’