ভরসার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা, মোকদ্দমা; বঞ্চনার অভিযোগ যতই থাকুক, সরকারি কর্মীরা যে নবান্নের ১৪ তলায় ফের মমতাকেই দেখতে চান, তা স্পষ্ট হল পোস্টাল ব্যালটে। ভবানীপুরে পোস্টাল ব্যালট রাউন্ডেই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে পিছনে ফেলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু ভবানীপুর নয়, সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরেও পোস্টাল ব্যালটে বাজিমাত করে তৃণমূল।
পোস্টা ব্যালটে ভোটের সংখ্যা কম হলেও এটি বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। সরকারি কর্মীদের আনুগত্য এর থেকেই বোঝা যায়। এর আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছিল যে কেন্দ্রের শাসকদলের পক্ষে ভোট দেন সরকারি কর্মীরা। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনেও দেখা যায় উল্টো ট্রেন্ড। উপনির্বাচনেও বজায় থাকল সেই প্রবণতা। বাংলা সহ গোটা দেশের নজর টিকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুরে। এই কেন্দ্রেই দ্বিতীয়বার ‘পরীক্ষা’য় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরীক্ষায় সরকারি কর্মীদের থেকে পাস মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ মমতা।
এদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচন ছাড়া আজ বাংলার আরও দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা। প্রাথমিক গণনার পর জানা যায়, সমশেরগঞ্জে প্রায় ৭০২ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। এই আসনেও পোস্টা ব্যালটে ১৬ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। একই চিত্র দেখা যায় জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। সেখানে পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন।