বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মুর্শিদাবাদে গিয়ে জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

মুর্শিদাবাদে গিয়ে জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়ালেন মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (HT_PRINT)

এদিনের সভায় মমতার একমেবদ্বিতীয়ম আক্রমণের নিশানা ছিল বিজেপি। প্রায় সমস্ত ইস্যুতেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ করেন তিনি। জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর তল্লাশির পিছনেও বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানা থেকে বিপুল নগদ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সরকারি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে জেলায় মোট ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।

এদিনের সভায় মমতার একমেবদ্বিতীয়ম আক্রমণের নিশানা ছিল বিজেপি। প্রায় সমস্ত ইস্যুতেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে আক্রমণ করেন তিনি। জাকির হোসেনের বাড়িতে আয়কর তল্লাশির পিছনেও বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘জাকির একটা বিড়ি শিল্পপতি। সে যদি দোষ করে নিশ্চই আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু তার যে ২০০০০ বিড়ি শ্রমিক রয়েছে সেটা তোমরা দেখো না? তাদের মাইনেটা কি ব্যাঙ্কে দেবে? কটা গ্রামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে? চাষিদের টাকা দেবে, কটা চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলুন তো? আধার কার্ড দেও, প্যান কার্ড দেও, ভ্যান ভ্যান দেও, ক্যাকা ক্যাকা দেও, NRC দেও, এই করে মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেও। এসব চলবে না। জাকির যথেষ্ট সেফ অ্যান্ড সাউন্ড, ওরা বুঝে নেবে ওদেরটা। ওকে তো প্রাণে মারারও চেষ্টা করা হয়েছিল’।

এর পরই নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য, কোনও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এখানে কাজ করার জন্য। তিনি তৃণমূলের কোন নেতা শক্তিশালী তার বাড়িতে লাইন করে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমি বলব, পরের বাড়িতে পাঠানোর আগে নিজের চেহারাটা তো একবার দেখুন। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। নিজেদের বাড়িগুলো আগে সার্চ করান। ইডিকে দিয়ে করান, সিবিআইকে দিয়ে করান, ইনকাম ট্যাক্সকে দিয়ে করান, তার পরে তৃণমূলের করবেন’।

গত বুধবার জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানাসহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। ১৫ ঘণ্টার তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রায় ১১ কোটি নগদ। জাকির হোসেনের দাবি, বিড়ি শ্রমিকদের বেতন, বিড়ি কারবারের মূলধন ও চালকলের কারবারের মূলধনবাবদ এই টাকা রাখা ছিল। চলতি সপ্তাহে জেরার জন্য জাকিরকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই নগদ তিনি আয়কর বিভাগের কাছে নথিভুক্ত করেছিলেন কি না তার নথি পেশ করতে হবে জাকির হোসেনকে।

 

বন্ধ করুন