বিক্ষুব্ধ জিতেন্দ্র তিওয়ারি শেষ পর্যন্ত পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করলেন না। শাসকদলের উন্নয়নের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছিলেন। এমনকী পদত্যাগ করে বার্তা দিয়েছিলেন। তখন তাঁকে দলে ধরে রাখতে ফিরহাদ তাঁকে দেখা করার বার্তা দেন।
এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘কথা যদি বলতেই হয় তাহলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বলব। আর কারও সঙ্গে নয়।’
সূত্রের খবর, তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন দলনেত্রী। দলের পক্ষ থেকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী ১৮ ডিসেম্বর সম্ভবত দেখা করতে পারেন। কারণ এখন মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে রয়েছেন। এখন চর্চা তুঙ্গে যে, শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। তাই এখন কেউ বেসুরো গাইলেই তাঁকে দলে টেনে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার।
সূত্রের খবর, আসানসোলের দু’জন বিধায়ক শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁরা শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। শুভেন্দু চাইছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ–বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে। তাই গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জিতেন্দ্র তিওযারি রবিবার চিঠি লিখেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, আসানসোল পুরসভা কেন্দ্র থেকে ২ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিল। স্মার্টসিটি প্রকল্পে এই টাকা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক তা বাস্তবায়িত হয়নি। সেই চিঠি আবার ফাঁস হয়ে যায়। এখন জিতেন্দ্র বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান থেকে দুটি আসন পেয়েছিল। তাই এখন বিদ্রোহ থামাতে চায় তৃণমূল। হাতে আর মাত্র পাঁচ মাস। তারপরই নির্বাচন। তাই এখন ধরে রাখতে চাইছে জিতেন্দ্রকে। কিন্তু আজও সভা থেকে নিজের পথ খোলা আছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।