নবান্ন অভিযানে মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আশ্বাস পেয়ে মইদুলের স্ত্রী জানিয়েছিলেন যে কম বেতনের চাকরি তিনি চান না। দিলে ভাল কোনও চাকরি দিতে হবে। অবশেষে শুক্রবার মইদুলের স্ত্রীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তাঁকে দেওয়া হল হোমগার্ডের চাকরি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। গত ১৫ তারিখ তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে মারা যান। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে মইদুলের পরিবারে। তার সঙ্গে দুই সন্তানকে নিয়ে মইদুলের স্ত্রীর কপালে দেখা যায় চিন্তার ভাঁজ— যে এত বড় পরিবার কীভাবে চলবে। কারণ, মইদুলই ছিলেন মিদ্দা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। টোটো চালিয়ে, মা, স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ভাগনির ভরণপোষণ করতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারটির।
সেদিনই বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে মইদুল ইসলাম মিদ্দার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে চায় রাজ্য সরকার এবং প্রয়োজনে তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।
এর পরই শুক্রবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে সঙ্গে নিয়ে মইদুলের বাড়ি যান রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। সেখানে মইদুলের স্ত্রীর হাতে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। জানা গিয়েছে, আপাতত কোতুলপুর থানাতেই চাকরি করবেন মইদুলের স্ত্রী। মইদুলের গ্রামে ও তাঁর পরিবারে শোকের ছায়ার মাঝেও কিছুটা খুশি এল সরকারি চাকরির হাত ধরে।