টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কার্শিয়ংয়ে তিনি বলেন, মহুয়ার পরিস্থিতির শিকার। বিজেপি তার প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করেছে। একই সঙ্গে মহুয়ার পাশে থাকায় INDI জোটের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান মমতা।
মমতা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বিজেপি গণতন্ত্রের সঙ্গে লড়তে পারে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য একজন মহিলাকে যে ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যে ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাকে ধিক্কার জানাই। দল সম্পূর্ণভাবে মহুয়া মৈত্রের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। আমরা চেয়েছিলাম সুবিচার হোক। বিচার করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তুমি সিবিআইও করবে আবার সদস্যপদ খারিজও করবে। দু’ তিন মাস পরে নির্বাচন। বড়জোড় আর একটা অধিবেশনে যেতে পারত। সেই সুযোগটাও তোমরা দিলে না। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক দল’।
INDI জোটের শরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে মহুয়া বলেন, ‘আজ একজোট থাকার জন্য ইন্ডিয়া জোটকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তারা আজ পালটা লড়াই করেছে। বিজেপি সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সংসদকে প্রতারণা করেছে। তারা সংবিধানকে প্রতারণা করেছে। কারণ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে’।
মমতার হুঁশিয়ারি, ‘আজ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, কাল না-ও থাকতে পারে। আমাদেরও দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আমরাও যা খুশি করতে পারি। আমরা যে কাউকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করতে পারি। কিন্তু সেটা কি ঠিক? এই ঘটনায় আমি বলতে পারি, মহুয়া পরিস্থিতির শিকার। আমি এই সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করছি।
কোনও ভোট হয়নি। ধ্বনী ভোটে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহুয়াকে দল কৃষ্ণনগরের সভানেত্রী করেছে। ও লড়াই করে ফিরে আসবে’।