নবান্নে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা একাধিক চেয়ার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য সরকার এবং আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শুধু যে ছবিটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, তা নয়। ওই ছবি নিয়ে মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ বলেছেন যে সিপিআইএম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কেউ আবার বলেছেন যে বিয়েবাড়ির ভেজ কাউন্টারে এরকম অবস্থা হয়।
'সিপিআইএমের বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক'
সিপিআইএম বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের মিমটি পোস্ট করেন যাদবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি যে ছবি পোস্ট করেন, তাতে লেখেন, 'সিপিআইএমের বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক।' সেইসঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘এখনও পর্যন্ত সেরা।’
‘এত অহংকার করবেন না'
সায়নীর ইঙ্গিতটা যে কোনদিকে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। কারণ আপাতত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিপিআইএমের কোনও বিধায়ক নেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জিততে পারেনি সিপিআইএম। আর সেই বিষয়টি কটাক্ষ করায় আবার সায়নীকেও পালটা তোপ দেগেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, ‘এত অহংকার করবেন না - সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।’
‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র দিনে পড়ার ব্যাচে স্যার’
তারইমধ্যে আরও একাধিক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। এক নেটিজেন ওই ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র দিনে পড়ার ব্যাচে।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘বাঙালি বিয়েরাড়িতে ভেজ (নিরামিষ) খাবারের কাউন্টার।’ এক নেটিজেন আবার কটাক্ষ করে বলেন, '(চাকরি খোঁজার পোর্টালে) কলকাতায় চাকরির খোঁজ করছি।'
জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মমতার
তারইমধ্যে শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে মুখ খুলেছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন কর্মবিরতি পালন করায় স্বাস্থ্য পরিষেবা যে বিঘ্নিত হয়েছে, তার ফলে আমরা ২৯টি মূল্যবান জীবন হারিয়ে ফেলেছি। তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। শোকাহত পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রত্যেক মৃতের পরিবারের সদস্যদের দু'লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কথা ঘোষণা করছে রাজ্য সরকার।’