শীতবস্ত্র বিতরণের কথা থাকলেও মঞ্চে তা এসে পৌঁছয়নি। নিজে কিনে ৫ হাজার কম্বল, ৫ হাজার চাদর ও ৫ হাজার সোয়েটার পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায়, মমতার কিনে দেওয়া শীতবস্ত্র রয়ে গিয়েছে বিডও-র অফিসেই। এই আবহে ক্ষুব্ধ মমতা বক্তব্য বন্ধ করে মঞ্চে বসে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি আসব বলে শীতবস্ত্র কিনেছি, এসে দেখছি তা নেই। যতক্ষণ না শীতবস্ত্র আসছে, আপনারাও বসুন আমিও বসলাম।’
মমতা এদিন রেগে গিয়ে বলেন, ‘পুলিশ অন্যায় করলে দোষটা পড়ে আমার ঘাড়ে। সরকার ভুল করলে দায় নিতে হয় আমাকে। যদি বিডিও, আইসি, ডিএমরা ঠিকমতো কাজ না করেন তাহলে আমি অ্যাকশন নেব।’ ব্লক আধিকারিককে মঞ্চ থেকেই ভর্ৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার কাছ থেকে আশা এটা করিনি।’
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিঙ্গলগঞ্জের সামসেরনগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় সামসেরনগর। কালীতলা পঞ্চায়েত সংলগ্ন মাঠে প্রশাসনিক সভার আগে মুখ্যমন্ত্রী সামসেরনগরের বনবিবির মন্দিরে যান এদিন। সেখানে প্রকৃতি পুজো দেন তিনি। হিঙ্গলগঞ্জে বনবিবির মন্দিরে গিয়ে শাড়ি, ধুতি, মালা, মিষ্টি, ফল–সহ ঢালা সাজিয়ে পুজো দেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বসিরহাটের তারকা সাংসদ নূসরত জাহান, মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী–সহ অনেকেই। সভাশেষে কালীতলার অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার রওনা দেবে টাকির উদ্দেশ্যে। সেখানে সরকারি অতিথি শালায় রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।