প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর্যালোচনা বৈঠকে থাকছেন না। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং ভরা কোটালের প্রভাবে রাজ্যে কোথায়, কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত হিসাব প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। নিজেই সে কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার সাগরে মমতা বলেন, ‘আমাদের কলাইকুন্ডায় যেতে হবে। ৪৫ মিনিট লাগবে এবং আমাদের একটা কাগজ দিতে হবে। তাই মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য যেতে হবে। কারণ আমি পর্যালোচনা বৈঠকে থাকছি না। আমি শুধু কাগজটা দেব, কোথায়, কী ক্ষতি হয়েছে। যতটা এখনও পর্যন্ত আছে।’
প্রাথমিকভাবে অবশ্য পর্যালোচনা বৈঠকে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তাল কাটে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে নবান্নে জানানো হয়, বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সূত্রের খবর, ধনখড় এবং দেবশ্রীর নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি মমতা। কিন্তু শুভেন্দু কোন যুক্তিতে থাকবেন, তা নিয়েই বেঁকে বসেন মমতা।তার জেরে মোদীর বৈঠকে মমতার উপস্থিতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন বলে একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়। যদিও শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। শুধু বৈঠকে যাবেন না।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারের জন্য ওড়িশায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৩০ কিলোমিটার কম গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। দু'জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু ভরা কোটালের যুগলবন্দিতে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।