ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং ভরা কোটালের দাপটে রাজ্যে ভেঙেছে একাধিক বাঁধ। তা নিয়ে সেচ দফতরের উপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন। দিঘায় কংক্রিটের বাঁধ ভেঙে যাওয়া নিয়ে তদন্তেরও নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠকে মমতার তুমুল ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সেচ দফতরের সচিব। মমতা বলেন, 'সেচ দফতর থেকে দিঘায় যেটা করেছিলে, তার পুরোটাই ভাঙল কীভাবে? এত কংক্রিট করেও (ভাঙল কীভাবে)? দু'বছরের মতো হয়েছে। জলের স্রোত ছিল, সবটা ঠিক আছে। সবটা কীভাবে ভেঙে গেল।' সেচ দফতরের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলে মমতা পালটা বলেন, ‘করতে করতে তোমরা সময় নিচ্ছ। কবে শেষ করার কথা! কত বছর হল কাজটা করতে? তিনটি ব্রিজ করার কথা ছিল কতদিনে? আর তোমরা এটাকে কতদিন ঝুলিয়ে রেখেছ? তোমরা নজরদারি চালাও? কেন এতদিন সময় লাগে? না! আমি নিজে দেখেছি। আমার ১০ বার ঘোরা হয়ে গেল। কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে না। প্রতিবারই শুধু হচ্ছে, হচ্ছে, হচ্ছে, হচ্ছে। ’ মমতা সাফ জানান, কাজে গাফিলতির অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। সঙ্গে প্রশ্ন করেন, 'তাহলে ভিত্তি তৈরি করা হয়নি? এটার একটা তদন্ত হবে।'
বিদ্যাধরী সেতুর বাঁধ নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভের সুরে প্রশ্ন করেন, আমফানের সময় বাঁধের জন্য টাকা দেওয়া হল। ‘সব টাকা কি জলেই চলে যাচ্ছে? এটা তো আমায় দেখতে হবে।’ আমফানের পর কী কী কাজ হয়েছিল, তার কতটা অংশ ভেঙে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য অর্থ দফতরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘যদি জানি যে জলের স্রোত এলে ভেঙে যাবে, তাহলে কেন করলাম? চারভাগের জায়গায় একভাগ করতে পারতাম। সেটা তো টিকে থাকতে পারত। জেনেশুনে বিষ পান করব কেন?’ সেইসঙ্গে অর্থ দফতরকে নির্দেশ দেন, ‘একদম (সেচ দফতরের) টাকা ছাড়বে না।' সেচ দফতরের অর্থ বরাদ্দের আগে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলেন।