ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল বোর্ড গঠনের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পানাগড়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে একটি পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে গিয়ে এই সংক্রান্ত ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি নিজেই হবেন। এই বোর্ড ধারাবাহিক ভাবে বৈঠকে বসবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এদিন একগুচ্ছ বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য দেন তিনি।
এদিন অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘এখন আমার ডেস্টিনেশন শিল্প। সামাজিক কর্মসূচিতে এখন আমরা এক নম্বর। এখন আমার নজর শিল্প-কারখানায়। দেউচায় বিশ্বের দ্বিতীয় সব থেকে বৃহত্তম কয়লা খাদান তৈরি করছি। তা থেকে সুবিধা পাবে পুরুলিয়া, হুগলি, বর্ধমান। তাজপুর পোর্টও হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর করেছিলাম আমি রেলমন্ত্রী থাকা কালীন। জঙ্গলমহল সুন্দরী প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২ হাজার কোটি টাকা। তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষ লক্ষ মানুষের। পানাগড় বাদে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে।’
মমতা এদিন আরও বলেন, 'ইথানলের মতো জৈব জ্বালানি তৈরি হবে বাংলায়। ভাঙা চাল দিয়ে তৈরি হবে জ্বালানি। ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ কাজ পাবেন। রাজ্যে দেড় হাজার কোটির বিনিয়োগ আসবে। দেড় হাজারের বেশি আইটি সংস্থা বাংলায় কাজ করে। এখন আমাদের লক্ষ্য ডেটা স্টোরেজ। নতুন ডেটা ইন্ডাস্ট্রি নীতিতে রাজ্যের নতুন লক্ষ্য তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং সংগ্রহের হাব হিসেবে বাংলাকে গড়ে তোলা। শুধু পূর্ব ভারত নয়, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের প্রয়োজন মেটাবে এটি। আগামী পাঁচ বছরে বাংলায় ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার তৈরি হবে।'
মমতা বলেন, 'এক লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই এসেছে রাজ্যে। প্রস্তাবনা রয়েছে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের। বাংলায় আরও একটি জায়গায় মিলেছে তেল। এখনই আমি জানাচ্ছি না সেটা কোথায়। এখনও পরীক্ষা চলছে। হলদিয়া দিয়ে তেল যেতে পারে বহু জায়গায়। বানতলায় চামড়ার কারখানাগুলিতে পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। অতিমারীতেও ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বাড়িয়েছি। এমএসএমই-তে মোট ১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।'