হাঁসখালিকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করলেনরানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এদিন তিনি জানান, প্রশাসনের সুবিধা কথা ভেবে নদিয়া জেলাকে দুই পুলিশ জেলায় বিভক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পুলিশ কোনো কাজই করছে না। শুধুমাত্র তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ।
জগন্নাথবাবুর দাবি, বিজেপি কর্মীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে কোনওরকম অগ্রগতি হচ্ছে না। উলটে বিভিন্ন বেআইনি বিষয়ে তৃণমূল নেতাদেরকেই সাহায্য করছে পুলিশ।
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের নিয়ে সাংসদ বলেন, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই বলে বসলেন মেয়েটির প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল, সে অন্তঃসত্তা ছিল কী করে প্রমাণ করবেন? তার মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই মন্তব্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কিভাবে করলেন তা বোধগম্য হয় না। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
পলাশিপাড়ায় একই পরিবারের তিন জন খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্তের দিক ঘোরানোর জন্য একজন প্রতিবেশী কে গ্রেফতার করে চুপচাপ রয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে নাকাশিপাড়া কৃষকদের জমির জায়গাতে বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করার কথা ঘোষণা হয়েছিল, সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কাটমানি তোলার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ সাংসদের।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সাংসদ তহবিল থেকে বেশ কিছু শারীরিকভাবে সক্ষম মানুষদের সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। এরপরে আরো বিভিন্ন জায়গায় ধীরে ধীরে এই সরঞ্জাম তুলে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে যেভাবে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে তার বিরুদ্ধে বিজেপি তাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে।