এবার দুয়ারে হাঁসের পালক! বাংলা ডেয়ারির ডিলারশিপ! শিল্পায়নের দিশা দেখালেন মমতা

মমতা বলেন, কৃষকরা আলাদা। মৎস্যজীবীরা আলাদা। তাঁদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড হোক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ANI photo) (ANI )

এবার ফের ক্ষমতার মসনদে বসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন, বিদেশ থেকে পুঁজি আনার ব্যাপারেও চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকেও সেই কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রেই দিশা দেখালেন তিনি। 

এদিন নানা ধরনের অভিনব সব শিল্পোদ্যোগের সন্ধান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন এবার দুয়ারে হাঁসের পালক। আসলে উলুবেড়িয়ায় শাটল কক তৈরির ক্লাস্টার রয়েছে। এই শিল্পের অন্যতম প্রধান উপাদান হাঁসের পালক। সেই হাঁসের পালকের সহজ যোগানের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই সমস্ত শিল্প উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করার জন্য তিনি দুয়ারে হাঁসের পালকের কথা উল্লেখ করেন। এতদিন যে পালক মূলত চিন ও অন্যান্য জায়গা থেকে আমদানি করতে হয়। সেই পালকেরই যোগান দেবে বাংলার গ্রাম। মমতা বলেন, 'তোমরা তো এখন হাঁসের পোলট্রি করছ। এখন তো গ্রামেগঞ্জে হাঁস আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে হাঁসের পালকটা সংগ্রহ করতে বলো। এবার দুয়ারে হাঁসের পালক।'

এর সঙ্গেই ফিসিং হাব থেকে ডেয়ারি শিল্পের উন্নতির উপর জোর দেন মুখ্য়মন্ত্রী। নয়াচরে নতুন ফিসিং হাব তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি। মৎস্যজীবীদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড তৈরির কথা জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, কৃষকরা আলাদা। মৎস্যজীবীরা আলাদা। তাঁদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড হোক। নভেম্বরের পর থেকে বাংলা ডেয়ারি চালুর কথা জানিয়েছেন তিনি। ঘি, দুধ পনির সহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। জেলায় জেলায় যারা বাংলা ডেয়ারির ডিলারশিপ নেন তাঁদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা।