পাহাড়ে যাওয়া মানেই দীর্ঘ পথ হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতার সেই হাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। আর এবার একেবারে বাঁশের ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চারপাশে উদ্বেলিত জনতা। তার মাঝে ব্যারিকেডের তিনটি বাঁশের মধ্য়ে একেবারে নীচের টিতে উঠে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই ছবি দেখে চমকে উঠছেন অনেকে।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক খবর তো হবেই, তবে ফিটনেস রহস্য নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন জরুরী হয়ে পড়ছে কিন্তু। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে হাসিমারায় সুভাষিনী চা বাগান মাঠে…এরপরই তিনি কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন।
এই ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। তবে একজন লিখেছেন, এতো ফিটনেস থাকতেও প্রত্যেকবার ঠিক নির্বাচনের আগে পায়ে চোট ও চক্র কেদারায় অবস্থান কি নিছকই কাকতালীয়…
এদিকে সেই ছবিতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই ব্যারিকেডের বাঁশের উপর দাঁড়িয়ে পড়েন। সামনেই জনতা। অনেকেই নেত্রীর সঙ্গে হাত মেলাতে চান। একবার মোবাইল বন্দি করতে চান নেত্রীর সেই ছবি।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফিটনেসের নজির এই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁর হাঁটার খবর বার বার সামনে এসেছে।
একাধিক মঞ্চে দেখা যায় মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হাঁটছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা তাঁর চিরাচরিত রীতি।
এদিকে হাঁটা নিয়ে এর আগেও নানা মন্তব্য করেছেন মমতা।
এমনকী ট্রেডমিলেও বাজেট বানিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা।
একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি অনুষ্ঠানে সঞ্চালক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সাম্প্রতিককালের আপনার একটি ভাষণ শুনছিলাম এবং দেখছিলাম। আপনি তো মঞ্চে একবার এদিক, আর একবার ওদিক যাচ্ছিলেন বক্তব্য রাখার সময়। এভাবে কি আপনি শরীরচর্চা করেন?’ উত্তরে মমতা বলেছিলেন, ‘আরে কী যে বলে! ওটা শরীরচর্চা নয়, ওভাবে আমি মঞ্চের সামনে থাকা জনগণকে প্রতিটা দিক থেকে সম্বোধন করি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘যদি মাঝে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিই তবে আমার চোখ থাকবে শুধুই মাঝখানে। কিন্তু আমি যদি পুরো মঞ্চটা ব্যবহার করে ডানদিক, বাঁদিক যাই তা হলে আমি দু’দিকের লোকজনের দিকে চোখ রেখে তাঁদের উদ্দেশে ভাষণ রাখতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর যদি এতে শরীরচর্চা হয় তা হলে তো ভালই। হতে দিন না।’
মমতা বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ট্রেডমিলে হাঁটি। আর ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে বিভিন্ন কাজবাজও সেরে নিই। ট্রেডমিলে খবরের কাগজও পড়ি, ফোনে কথা বলি, মেসেজও পাঠাই। কিছু চিন্তাভাবনা করার থাকলে তাও করি ট্রেডমিলে হাঁটতে হাঁটতে। কিছু পড়াশোনা করার থাকলেও সেটাও করি।’