সবকিছুই হয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার অপেক্ষা ছিল। অবশেষে রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হল, ভবানীপুরে ঘাসফুলের টিকিটে লড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ আসনেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দুই আসনেই প্রার্থীর পরিবর্তন করেনি তৃণমূল। যাঁরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ছিলেন, তাঁদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিপুরে দাঁড়াচ্ছেন জাকির হোসেন। সামশেরগঞ্জে ঘাসফুলের টিকিট পেয়েছেন আমিরুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন টানাপোড়েনের পর শনিবার ভবানীপুর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সেখানে ভোটগ্রহণ হবে। তবে বাকি যে কেন্দ্রগুলিতে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা, সেখানে এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি কমিশন। শুধুমাত্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোট হবে। এমনিতে গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন মমতা। বিধায়ক না হওয়ায় সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে ছ'মাসের মধ্যে নির্বাচন জিতে আসতে হবে। সেজন্য উপ-নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় তৃণমূল। সূত্রের খবর, কমিশনের কাছে সওয়াল করা হয় যে ভবানীপুরে ভোট করা না হলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই যুক্তি মেনে নিয়েছে।
উপ-নির্বাচন নিয়ে ভবানীপুরের জয়ী প্রার্থী (যিনি বিধায়ক পদ ছেড়েছেন) শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। ভবানীপুরে তো মুখ্যমন্ত্রী লড়াই করবেন। তাই উপ-নির্বাচন প্রয়োজনীয় ছিল। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার জানান, নির্দিষ্ট সময় নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছে বাম শিবির। কিন্তু রাজ্যে স্কুল বন্ধ, লোকাল ট্রেন চলছে না, তখন কেন উপ-নির্বাচন হচ্ছে? আর পুরসভা নির্বাচন কেন হচ্ছে না? কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভটাচার্য বলেন, 'সঠিক সময় চেয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন সঠিক কাজ করেছে।'