চারদিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা হতে পারে।
সূত্রের খবর, আগামী ২২ নভেম্বর (সোমবার) দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা। ফিরবেন ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)। চারদিনের সফরে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। রাজ্যের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানাবেন। তারইমধ্যে মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। গত জুলাইয়ে যে দু'জনের একপ্রস্থ সাক্ষাৎ হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে দিল্লি সফরে গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা। ৩০ মিনিটের সাক্ষাতের পর মমতা বলেছিলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হয়নি। দু'বছর পর দিল্লিতে এলাম। সৌজন্য সাক্ষাত্ এটা। নির্বাচনের পর প্রোটোকল মেনে দেখা করেছি। সেইসঙ্গে করোনার বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাড়তি করোনা টিকা, ওষুধ চেয়েছিল। জনসংখ্যার তুলনায় কম পেয়েছি আমরা। সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সবাইকে টিকা দিতে চাই।' সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এবারও টিকা নিয়ে মোদীর কাছে দরবার করতে পারেন মোদী। আলোচনায় উঠে আসতে পারে সীমান্তে এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিষয়টিও।
তবে এবারের দিল্লি সফরে মমতা বিরোধী দলের কতজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষত জুলাইয়ে যখন দিল্লিতে গিয়েছিলেন, তখন একঝাঁক বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বৈঠক করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। কিন্তু তারপর যমুনা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। সেই পরিস্থিতিতে আদৌও কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে মমতা দেখা করবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেও অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মমতা। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে আরও তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারেন।