লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সংগঠনের নড়বড়ে অবস্থাটা টের পেয়েছিলেন অনেকে। ভোটের পরে বনগাঁ মহকুমায় তৃণমূলের কঙ্কালসার চেহারাটা যেন স্পষ্ট ভাবে বেরিয়ে পড়ে। তার পর উদ্বাস্তু বহুল এই মহকুমায় CAA-র প্রভাব কী হতে পারে তা এখনো মেপে উঠতে পারছেন না দলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের তৃণমূলের প্রতি আস্থা ফেরাতে ফের একবার দলের নিচুতলার নেতাকর্মীদের ঘাড়েই কাঁঠাল ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমনটা করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের পর কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি ফেরতের নির্দেশ দেওয়ার পর পথঘাট বাইতে পারছিলেন না তৃণমূলের বহু নেতা। টাকা ফেরত দিতে না পারায় এখনো ঘরছাড়া বহু তৃণমূল নেতাকর্মী। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁয় CAA ও NRC বিরোধী জনসভায় ফের একবার নিজের দলের পদাতিক সেনার বিরুদ্ধেই মুখর তৃণমূলনেত্রী। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের নিচুতলায়।
এদিন বনগাঁ স্টেডিয়ামে তৃণমূল উদ্বাস্তু সেল আয়োজিত সভায় মমতা বলেন, ‘স্থানীয় নেতাদের ওপর রাগ হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন দলটা আমরা চালাই। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে ব্যবস্থাও নিই।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল নেতাদের দুর্ব্যবহারেই যদি ভোটার বিমুখ হবে তাহলে সব ভোট বিজেপিতে গেল কেন? কিছু ভোট তো বাম – কংগ্রেসেও যেতে পারত।
তবে বনগাঁয় যে তৃণমূলের অবস্থা ভাল নয় তা বিলক্ষণ জানে সবাই। লোকসভা নির্বাচনের পর কাউন্সিলর ভাঙিয়ে বিজেপির বনগাঁ পুরসভা দখলের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছে। কিন্তু সেই আস্থা ভোট নিয়ে কী কাণ্ড ঘটেছে তা দেখেছে গোটা দেশ। সেখানেই পুরভোটের আগে মানুষের আস্থা জিততে নিজের ব্র্যান্ডকেই এগিয়ে দিলেন মমতা।