গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিন দিনের সফরে গঙ্গাসাগরে এসে ভারত সেবাশ্রম সংঘ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারত সেবাশ্রম সংঘের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন গঙ্গাসাগরে এসে ভারত সেবাশ্রম সংঘে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারত সেবাশ্রমের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘অনেক এনজিও রয়েছে। কিন্তু ভারত সেবাশ্রম সংঘ যে কাজটা করে মানুষের জন্য সেটা মনে রাখার মতো। তারা কেবল ভাষণ দেয় না। তাঁরা রান্না করে লোককে খাওয়ায়। গৃহে স্থান দেন। সেবা করেন। ভারত সেবাশ্রম সংঘ যে কাজ করে, সে কাজ অনেকেই করতে পারে না। তারা পথ দেখায় দুর্যোগে কীভাবে কাজ করতে হয়। রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা প্রসারে ধ্যান দেয় বেশি আর ভারত সেবা শ্রম সংঘ সেবামূলক কাজে ধ্যান দেয়।’ গঙ্গাসাগর মেলাকে যাতে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, ‘কুম্ভ মেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কুম্ভ মেলা তো রোড, রেল কানেকটেড। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় জল পেরিয়ে আসতে হয়। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। প্রতি বছর লাখ লাখ লোক দূর দূরান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় আসেন। আগে অনেক কষ্ট করে গঙ্গাসাগরে আসতে হত। এখন ভেসেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ভেসেল চলছে। এখন গঙ্গাসাগরে আসার পথও সুগম হয়েছে।’
এদিন ভারত সেবাশ্রমে গিয়ে সংঘের প্রতিষ্ঠতা স্বামী প্রণবানন্দজীর ছবিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর ছবির সামনে আরতিও করেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছেই আবেদন করেন, গঙ্গাসাগর মেলায় তো প্রচুর মানুষ আসবেন। কোভিড বিধি মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। এদিন এলাকার স্থানীয় মানুষদেরও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতা ছাড়া এই গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হত না। তাই তাঁদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী ভারত সেবাশ্রম সংঘের পর কপিল মুনি আশ্রমেও যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত। সেখানেই মোহন্ত বলেন, ‘সততা কখনও হারে না। সততার জয় সবসময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের অনেক মঙ্গল হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও প্রশাসনের আরও অনেক কর্তারাও হাজির ছিলেন।