এখনও মেটেনি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এবং কোটালের জেরে প্লাবনের দাগ। তারইমধ্যে আগামী শনিবার (২৬ জুন) নদী তীরবর্তী এলাকায় আবারও একটি ভরা কোটালে প্লাবনের আশঙ্কা করছে রাজ্য। সেজন্য ইতিমধ্যে জেলাশাসক এবং রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানান, প্রায় এক বছরে যা বৃষ্টি হয়, তা গত ১৯ দিনেই হয়ে গিয়েছে।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৬ জুুন বান আসবে। তাতে সাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা ছয় মিলিমিটারের মতো থাকবে। তার জেরে দুই পরগনা, হুগলির আরামবাগ, খানাকুল; হাওড়ার বাগনান, উদয়নারায়ণপুর, আমতা, উলুবেড়িয়ার কিছুটা অংশ; বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেজন্য ইতিমধ্যে সব জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছে সেচ দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিভিন্ন বাঁধ থেকে কীভাবে জল ছাড়া হচ্ছে, সেদিকেও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাটা প্রায় নৌকার মতো। সেই অবস্থায় সম্ভব হয়, (ততটা করা হচ্ছে), প্রকৃতি তো আমাদের হাতে নেই। গত ১৯ দিনে প্রায় এক বছরের বর্ষা (বৃষ্টি) হয়ে গিয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে বোঝা গিয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কোটালের আগে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরে মুড়িগঙ্গার বাঁধ উপচে ঢুকতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এবং কোটালের ধাক্কায় ওইসব এলাকায় আগেই বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা ছন্দে ফেরার আগেই আবারও গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়েদর আশঙ্কা, শনিবার ভরা কোটালে আবারও ভিটেহারা হতে হবে। প্রশাসনের তরফে অবশ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।