সব জল্পনা, সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে গত শনিবারই উপনির্বাচনের ঘণ্টা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোট হবে ভবানীপুর আসনে। সেই মতো ভবানীপুর আসনে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ব্যানারে, পোস্টারে একেবারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে চারদিক। ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গণেশ পুজোর দিনই তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এবার একটু পেছনে ফিরে তাকানো যাক। গত বিধানসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচনে মমতা নন্দীগ্রাম আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেবার সেই ১০ তারিখ অর্থ্যাৎ ১০ই মার্চ তারিখে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সেবার। কিন্তু নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে দেখা গিয়েছিল পরাজিত হয়েছেন মমতা। একসময়ের সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সেবার পরাজিত হন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
এদিকে পরাজিত হওয়ার পরেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও আসন থেকে তাঁকে জিতে আসতে হবে। না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র ভবানীপুর আসনের জন্য উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কমিশন। আর সেই আসন থেকে জয় নিশ্চিত করার জন্য একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।