বৈঠকে 'কথা বলার সুযোগ পাননি'। তাই বৈঠক শেষের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের করোনাভাইরাস টিকা প্রদানের আর্জি জানালেন তিনি।
মমতা জানান, জরুরি পরিষেবা চালু রাখার জন্য রেল এবং বিমানবন্দরের কর্মীরা অনবরত কাজ করে যাচ্ছেন। একইরকমভাবে ব্যাঙ্ক, বিমান, ডাকঘর, প্রতিরক্ষা, কয়লা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাই 'কোনওরকম বিলম্ব না করে এবং বয়সের কোনও সীমা না রেখে তাঁদের টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।' অথচ কেন্দ্রের নীতিতে তাঁদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করেছেন মমতা।
চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, ময়দানে নেমে যাঁরা কাজ করছেন এবং যাঁরা ভোটের কাজে যুক্ত ছিলেন, সেরকম কর্মীদের একটি বড় অংশকেই বাংলায় টিকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু টিকার অভাবের কারণে সবাইকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য কমপক্ষে ২০ লাখ ডোজ লাগবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য টিকার বন্দোবস্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করার আর্জি জানান মমতা। সঙ্গে চিঠিতে লেখেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কোনওরকম বিলম্ব ছাড়া অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য টিকার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানাচ্ছি আমি।’
বৃহস্পতিবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা আশ্বাস দেন, পর্যাপ্ত জোগান পেলে তিন মাসের মধ্যে বাংলার সবাই করোনাভাইরাস টিকা পেয়ে যাবেন। সঙ্গে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, নরেন্দ্র মোদীর ফর্মুলা মেনে চললে দেশে টিকাকরণের জন্য ১০ বছর লাগবে।