চাহিদা পূরণে আবারও করোনাভাইরাস টিকা পাঠানোর দাবি তুললেন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে বিদেশ থেকে টিকা আমদানির প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মমতার প্রস্তাব দেন যে বাংলায় টিকা উৎপাদনের কারখানা গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিতেও তৈরি আছে বলে জানান মমতা।
বুধবারের চিঠিতে মমতা জানান, বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট বলছেন যে করোনার মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল টিকা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী দেশে টিকার উৎপাদন পর্যাপ্ত নয়। সেই আকাল মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে টিকা আমদানি করার প্রস্তাব দেন মমতা। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে স্বনামধন্য এবং উপযুক্ত টিকা প্রস্তুতকারীগুলিকে চিহ্নিত করা হোক। আন্তর্জাতিক স্তরে যে সংস্থাগুলির পরিচিতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দ্রুত টিকা আমদানি করার বিষয়টিও সম্ভব।'
চাহিদা পূরণে আবারও করোনাভাইরাস টিকা পাঠানোর দাবি তুললেন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে বিদেশ থেকে টিকা আমদানির প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মমতার প্রস্তাব দেন যে বাংলায় টিকা উৎপাদনের কারখানা গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিতেও তৈরি আছে বলে জানান মমতা।
বুধবারের চিঠিতে মমতা জানান, বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট বলছেন যে করোনার মোকাবিলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল টিকা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী দেশে টিকার উৎপাদন পর্যাপ্ত নয়। সেই আকাল মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে টিকা আমদানি করার প্রস্তাব দেন মমতা। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে স্বনামধন্য এবং উপযুক্ত টিকা প্রস্তুতকারীগুলিকে চিহ্নিত করা হোক। আন্তর্জাতিক স্তরে যে সংস্থাগুলির পরিচিতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দ্রুত টিকা আমদানি করার বিষয়টিও সম্ভব।' |#+|
রাজ্যে টিকা পাঠানোর দাবি তুলে এই প্রথম চিঠি লিখলেন না মমতা। আগেও একাধিবার চিঠি লিখেছেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। যদিও মমতার দাবি মেনে সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেকের থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে টিকা কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের অবশ্য চাহিদা মেটেনি। যে পরিমাণ টিকার ডোজ বরাত দেওয়া হয়েছিল, তার অনেকটাই কম এসেছে। তার জেরে ১৮-৪৪ বয়সিদের থেকে টিকাকরণ এখনও শুরু করতে পারেনি রাজ্য সরকার। বাকিদেরও দ্বিতীয় ডোজের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সেই পরিস্থিতিতে শুধু আমদানি নয়, টিকার জোগান বাড়াতে প্রয়োজনে বিদেশি সংস্থাগুলিকে ভারতে ফ্র্যাঞ্চাইজি (শাখা সংস্থা) খোলার জন্য উৎসাহ প্রদানেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মতে, টিকার আকাল কাটানোর জন্য উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সেজন্য দেশীয় সংস্থাগুলিও চালু করতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রয়োজনে ভারতীয় সংস্থাগুলি তো বাংলায় টিকা উৎপাদনের জন্য কারখানা গড়ে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে জমি দিতে প্রস্তুত আছে রাজ্য। সঙ্গে টিকা সংস্থাগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। যদিও সেই প্রস্তাবের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এত দ্রুত টিকা তৈরির কারখানা তৈরি করা হবে কীভাবে?